গণহত্যার স্মৃতি ভুলতে পারে না নেতাই
পরিবর্তন তখনও দেখেনি রাজ্য। ১০ বছর আগে একটি ছবি নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। সামনে মায়ের মৃতদেহ ৷ দেওয়ালে পিঠ দিয়ে অঝোরে কেঁদে চলেছে এক কিশোরী ৷ সামনে আরও একটি গুলিবিদ্ধ দেহ। নেতাই গণহত্যার এই ছবিটা ভুলতে পারেননি কেউই ৷ ১০ বছর পর এখন কেমন আছে নেতাই ?
এই ছবিটা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। ১০ বছর পরও কী সেই বোঝা, সেই দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়ায় নেতাইকে ? কীভাবে দিন কাটে গীতালি আদকের মেয়ে জনতা আদকের ? সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জনতা কান্নায় ভেঙে পড়েন ৷ বলেন, যদি মাকে ফিরে পেতাম ৷ ওরা কেন মারল মা কে ? মা তো রাজনীতি করত না ৷
গ্রামেই রথীন দণ্ডপাটের বাড়িতে শিবির করেছিল সিপিএম ৷ দীর্ঘদিন গ্রামের লোকের ওপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগের পর ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে গ্রামবাসীর । বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে ভিতর থেকে গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৯ গ্রামবাসী। গীতালি আদক তাদেরই একজন । টিউশনি থেকে ফিরে মায়ের গুলিবিদ্ধ দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল মেয়ে ।
সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১০ বছর। সরকারি চাকরির ব্যবস্থা হয়েছে জনতা আদকের। বিয়ে করেই ভালো আছেন তিনি। স্মৃতি ভুলে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন নেতাইবাসী। রাস্তা, জল, বিদ্যুতের মাধ্যমে উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু নেতাই গণহত্যা ? সেই ঘা এখনও দগদগে।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নেতাইয়ের দুইটি আসনই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়যুক্ত হয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দুইটি আসনে তৃণমুল কংগ্রেস এগিয়ে ছিল। ভোট আসুক বা নাই আসুক, উন্নয়নের মাঝেও গণহত্যার স্মৃতি ভুলতে পারে না নেতাই।