রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

শহিদ স্মরণের অনুষ্ঠানে শুভেন্দুর রাজনৈতিক মন্তব্যে বিরক্ত স্থানীয়রা

January 7, 2021 | 2 min read

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজনৈতিক দলবদলের সঙ্গে সঙ্গেই বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রাম, নেতাই। ৭ জানুয়ারি অর্থাৎ আজকের দিনটি এই দু’টি জায়গার ক্ষেত্রেই তাৎপর্যপূর্ণ। আর সেদিন দু’জায়গাই সাক্ষী রইল শুভেন্দু বনাম তৃণমূল তরজার। শুভেন্দুর মাল্যদানের পর শহিদ বেদি ‘শুদ্ধিকরণ’ করল তৃণমূল।

৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম (Nandigram) দিবসে শহিদ বেদি পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেন না বলেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। ‘রক্তচক্ষু’ অগ্রাহ্য করে বুধবার রাত ১২টার পর নন্দীগ্রামে শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন নব্য বিজেপি নেতা। বলেছিলেন নেতাই যাওয়ারও কথা রয়েছে তাঁর। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী নেতাই পৌঁছন। সঙ্গে ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথি, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ-সহ অন্যান্য অনুগামীরা। শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন। শহিদ এবং আহত পরিবারের সদস্যদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন। আর্থিক সাহায্যও করেন।

শহিদ স্মরণের পর ফের নাম না করে তৃণমূলকে (TMC) কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। গ্রামবাসীদের সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দেন বিজেপি নেতা। তবে অনুষ্ঠানের তাল কাটে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগানে। নেতাই দিবস নিয়ে রাজনীতি মানতে নারাজ স্থানীয়রা। নেতাই শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি দ্বারকানাথ পাণ্ডা বলেন, “শহিদ বেদির উপরে রাজনৈতিক রং না দিলেই ভাল হত। এটা আমাদের একটু খারাপ লেগেছে। দলীয় স্লোগান শহিদ দিবসে দেওয়া ঠিক হয়নি। রাজনৈতিক নেতা হিসবে উপস্থিত হয়ে কিছু দলীয় কথা আগে কখনও বলেননি শুভেন্দু। এমন কথাবার্তা না বললেই মনে হয় ভাল হত।”

শুভেন্দুর সভার পরই নেতাইতে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। শহিদ বেদিতে মাল্যদানের আগে ‘শুদ্ধিকরণ’ করা হয়। গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয় শহিদ বেদি। তৃণমূলের যুক্তি, শুভেন্দু অধিকারীর মতো ‘মীরজাফর’রা এসে শহিদ বেদিকে অপবিত্র করেছে। তাই ‘শুদ্ধিকরণ’ কর্মসূচি। এরপর যদিও মাল্যদান করা হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#suvendu adhikari, #Netai Movement

আরো দেখুন