কান্নাকাটি করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন মুকুল, দাবি কুণালের
একসময় মুকুল রায় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই রাজ্যের শাসক দলের তিনিই ছিলেন সর্বেসর্বা। ইউপিএ–টু সরকারে তৃণমূল কংগ্রেস যখন শরিক হয়েছিল, তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তালিকায় ছিলেন না মুকুল রায়। এই মুকুল রায়কে মন্ত্রিত্ব লাভ করতে সুপারিশের আশ্রয় নিতে হয়েছিল। এখন বিজেপিতে গিয়ে ভোলবদলে ফেলেছে। এভাবেই দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
১১ বছর পর বর্ধমানের খণ্ডঘোষের সভা থেকে তিনি মুকুল রায়ের (Mukul Roy) মন্ত্রিত্ব পাওয়ার প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তালিকা তৈরি করেছিলেন সেখানে ছিল না মুকুল রায়ের নাম, তা সুপারিশ করেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।’ যদিও মুকুল রায় সে বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
কুণাল ঘোষ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে পাঁচজন রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন। সেই পাঁচজনের তালিকায় নাম ছিল না মুকুল রায়ের। মুকুল রায় তখন কান্নাকাটি করছিলেন। শেষে আমায় সুপারিশ করতে হয়েছিল। আমি বলেছিলাম, মুকুলদা কান্নাকাটি করছেন, তাঁর নামটা রাখুন মন্ত্রিত্বের তালিকায়। তারপরই মুকুল রায় মন্ত্রী হন।’ এই মন্তব্যের পর রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
মুকুল রায়ের পাশাপাশি দলবদল করা শুভেন্দু অধিকারী ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও একহাত নেন কুণাল ঘোষ। তিনি শিশির অধিকারীকে ‘দাদা’ বলে সম্বোধন করে ঘুরিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকেই ‘ভাইপো’ বলে আক্রমণ করেন। আর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, ‘তিনি আবার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া চলতে পারেন না।’