আগামীকাল খুলছে স্কুল, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে
আগামী কাল, শুক্রবার থেকে অফলাইনে পঠনপাঠন শুরু করার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে রাখছে সব স্কুলই (School)। বুধবার বহু স্কুলে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া শেষ হল। অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকও সেরে রাখল তারা। আবার কিছু স্কুল, আজ, বৃহস্পতিবার স্যানিটাইজেশন শেষ করবে। তবে, স্কুল খোলার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের মতামতকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।
এদিন নিজেদের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে হিন্দু স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার পরে ছিল অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকও। প্রধান শিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত জানান, দু’টি বৈঠকেই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বৈঠকে প্রস্তাব এসেছে, পড়ুয়াদের ব্যস্ততার সময় এড়িয়ে স্কুলে আনা এবং বাড়ি পাঠানোর বিষয়টি সুনিশ্চিত করা যায় কি না। তা থেকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, পঠনপাঠনের সময় কমিয়ে আনা হবে। দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত ক্লাস হবে। প্রয়োজনে টিফিন বিরতি থাকবে না। আমরা ঠিক করেছিলাম, বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে মকটেস্ট নেওয়া হবে। কিন্তু অভিভাবকরা প্রস্তাব দেন, মকটেস্ট নয়, টেস্টের ধাঁচেই নেওয়া হোক পরীক্ষা। তাহলে পরীক্ষার্থীরা আরও সড়গড় হবে। সেটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে, সব ক্লাস একসঙ্গে শুরু হচ্ছে না। নবম এবং দশম শ্রেণির (যারা এবছর নবম থেকে দশম শ্রেণিতে উঠেছে) ক্লাসই ১২ শুক্রবার থেকে শুরু হবে। একাদশ এবং দ্বাদশের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। দশম শ্রেণির মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। মূলত নবম এবং একাদশের যে সব ছাত্রছাত্রীরা সরস্বতী পুজোর জন্য ব্যস্ত থাকবে, তাদের জন্যই আলাদা দিনে শুরু করতে হচ্ছে ক্লাস। তবে, প্রশ্নোত্তর এবং দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটানোর উপরেই বেশি জোর দেওয়া হবে। অনলাইনে দ্বাদশ শ্রেণির কিছু সিলেবাস শেষ হয়নি। তা আগে শেষ করা হবে। আজ, স্যানিটাইজেশন চলবে এই স্কুলে।
এদিন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে হেয়ার স্কুলও। এখানে সোমবারই যোগ দিয়েছেন নতুন প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত ভট্টাচার্য। তিনি বৈঠক করেন। স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, প্রধান শিক্ষক সদ্য যোগ দেওয়ায় অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করা সম্ভব হয়নি। তবে, তাঁদের কী কী আনতে হবে, সবই বলে দেওয়া হয়েছে। একটি অঙ্গীকারপত্র দিতে হবে তাঁদের। তাতে বলা থাকবে, কোভিড বিধি অক্ষরে অক্ষরে তাঁরা এবং স্কুলে এসে তাঁদের সন্তানরা মেনে চলবেন। যাদবপুর বিদ্যাপীঠ অনলাইন-অফলাইন, দু’ভাবেই ক্লাস চলবে। একটি শ্রেণিকেই দু’টি ক্লাসে ভেঙে একদিন ডাকা হবে। বাকিদের অনলাইনে ক্লাস হবে। আবার তাদের যখন স্কুলে ডাকা হবে, তখন অন্যদের অনলাইন ক্লাস হবে। হাত ধোওয়া এবং পানীয় জলের আলাদা দু’টি নতুন ব্যবস্থা করেছে স্কুল। এদিন স্যানিটাইজেশনও হয়েছে। এদিন ক্যাম্পাস জীবাণুমুক্ত করেছে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলও।