দেশ বিভাগে ফিরে যান

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আজ দেশজুড়ে ৪ ঘণ্টার ‘রেল রোকো’

February 18, 2021 | 2 min read

বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন (Farm Laws) বাতিলের দাবিতে আজ, বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে ‘রেল রোকো’ (Rail Roko) কর্মসূচিতে শামিল হচ্ছে কৃষক সংগঠনগুলি। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ফের অশান্তির আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএফ) পক্ষ থেকে বুধবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, যে কোনওরকম অশান্তির আশঙ্কায় তারা অতিরিক্ত ২০ কোম্পানি জওয়ান (রেলওয়ে প্রোটেকশন স্পেশাল ফোর্স বা আরপিএসএফ) মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং এক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজরে রাখা হচ্ছে চারটি রাজ্যের উপর। সেগুলি হল পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ। যদিও সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বরাবরের মতোই আজও শান্তিপূর্ণভাবেই ট্রেন অবরোধ করবেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। কোথাও কোনও অশান্তি করা হবে না।

বৃহস্পতিবার সারা দেশে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত মোট চার ঘণ্টা রেল রোকো কর্মসূচিতে শামিল হবেন কৃষকরা। কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বাংলার মোট ৫৬টি স্থানে রেল রোকোতে শামিল হবেন কৃষকরা। তবে রাজ্যে বিকেল ৩টে থেকে ৪টে পর্যন্ত রেল রোকো চলবে। অর্থাৎ, চার ঘণ্টার পরিবর্তে বাংলায় রেল রোকো হতে চলেছে এক ঘণ্টার। অন্য বামপন্থী সংগঠনগুলিও এতে শামিল হবে বলে জানানো হয়েছে।

গত ২৬ জানুয়ারি কিষান গণতন্ত্র ট্রাক্টর প্যারেডকে কেন্দ্র করে দিল্লির রাস্তায় যে তুলকালাম হয়েছিল, তা মাথায় রেখে আরও বেশি সক্রিয় হচ্ছে পুলিস। বিক্ষোভরত কৃষকরা অবশ্য বলছেন, ‘২৬ জানুয়ারির ঘটনা চাষিরা ঘটাননি। তা ছিল দিল্লি পুলিসেরই প্লট। কৃষকরা যে শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করছেন, তা প্রমাণিত হয়েছে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিতেও। রেল রোকোর ক্ষেত্রেও শান্তি বজায় থাকবে।’ তবে নিজেদের অবস্থান থেকে একবিন্দু না সরে এদিন ফের ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলা হয়েছে, ‘জয় না পাওয়া পর্যন্ত একজন কৃষকও সীমানা ছেড়ে নড়বেন না।’ রেল রোকোয় আটকে পড়া ট্রেন যাত্রীদের খাবার এবং জল দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন কৃষকরা।

এরই মধ্যে এদিন সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, মুজফফরপুরের একটি কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। তারা আরও জানিয়েছে, যেভাবে মঙ্গলবার রাতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা বৈঠক করেছেন, তাতে স্পষ্ট যে, বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান খোঁজার পরিবর্তে সরকার এই আন্দোলনকে ধ্বংস করতে চাইছে। দিল্লি পুলিসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, মঙ্গলবার সিংঘু সীমানায় একজন বিক্ষোভকারীর হাতে নিগৃহীত হয়েছেন দিল্লি পুলিসের এক এসএইচও। ওই বিক্ষোভকারী সংশ্লিষ্ট পুলিসকর্মীর গাড়ি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল বলেই জানিয়েছে দিল্লি পুলিস।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Farmers' protest, #Rail Roko

আরো দেখুন