সপ্তাহান্তে ঘুরে আসুন গুপ্তিপাড়া থেকে
উইক এন্ড ট্যুর বা সপ্তাহ শেষের সফর এখন যথেষ্ট জনপ্রিয়। করোনাকালে সংক্রমণের ভয়ে বহু মানুষ দূরে বেড়াতে যেতে সাহস পাচ্ছেন না এখনও। তাই এক বা দু’দিনের জন্য কাছেপিঠে কোথাও বেড়াতে যেতে চাইছেন অনেকেই। এদিকে বেড়ানোর জায়গা হিসেবে গত কয়েক বছর ধরেই উঠে এসেছে হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়ার নাম।
রথ ও টেরাকোটার নকশায় সমৃদ্ধ বৃন্দাবন চন্দ্রের মন্দিরের জন্য যে এলাকার খ্যাতি, সেই গুপ্তিপাড়ার মুকুটে এখন নবতম সংযোজন ইকোপার্ক। চর কৃষ্ণবাটি, এলাকায় যা ‘চরা’ নামে পরিচিত, সেখানে গঙ্গার ধারে তৈরি হয়েছে বিশাল বড় পার্ক। দুপুর থেকে বিকেলের দিকে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনবদ্য এই পার্ক। এখনও সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়নি পার্ক গড়ার কাজ। তবু বহু মানুষ এরই মধ্যে আসতে শুরু করেছেন এখানে। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি পার্কের কাজ শেষ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ব্যান্ডেল-কাটোয়া ট্রেন রুটে হুগলি জেলার শেষ স্টেশন গুপ্তিপাড়া। তারপরেই শুরু হচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা। গুপ্তিপাড়ার পরের স্টেশন অম্বিকা কালনায় রয়েছে বহু দর্শনীয় স্থান। ফলে বহু মানুষ গুপ্তিপাড়া এবং কালনাকে কেন্দ্র করে ঘুরতে আসেন। বহু পুরনো বৃন্দাবন চন্দ্রের মন্দিরের পাশাপাশি গুপ্তিপাড়ার রয়েছে দেশ কালীতলা মন্দির ও রথ। আর রয়েছে গঙ্গার ধারের মনোরম পরিবেশ। এমনই পরিবেশের মধ্যে চর কৃষ্ণবাটিতে তৈরি হয়েছে ইকোপার্ক।
লকডাউনের সময় থেকেই এই পার্ক গড়ার কাজে হাত দেয় প্রশাসন। যে এলাকায় পার্কটি তৈরি হয়েছে, তার সাড়ে তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনও জনবসতি নেই। পার্কের গা-ঘেঁষে চলেছে হুগলি নদী। অপর প্রান্তে শান্তিপুর। বাইরে থেকে যারা বেড়াতে আসছেন, তাঁরা তো বটেই, গুপ্তিপাড়ার মানুষজনও এরইমধ্যে আপন করে নিয়েছে পার্কটিকে।