আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ‘গণভোজ’, নয়া উদ্যোগ তৃণমূলের

রাজ্যের তফসিলি, আদিবাসী ও জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে এবার ‘গণভোজ’-এর (Ganavoj ) আয়োজন করল তৃণমূল। এতদিন তৃণমূল অভিযোগ করছিল বিজেপি নেতারা রাজ্যে এসে আদিবাসীদের বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে জনসংযোগ করছে। এবার তাঁর পাল্টা দিল তৃণমূল। প্রশান্ত কিশোর আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে তৃণমূলের নেতাদের এই দাওয়াই দিয়েছেন। এমনটাই তৃণমূল (Trinamool) সূত্রে জানা গিয়েছে। তাই রাজ্যের ৬৮টি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসনে এই গণভোজের কর্মসূচি শুরু করবে তৃণমূল নেতারা।
গত ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের তফসিলি অধ্যুষিত আসনগুলোতে তৃণমূল বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে। ২০১৯-এর ভোটের ফলের নিরিখে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের তফসিলি জাতি অধ্যুষিত আসনের ফলে দেখা যাচ্ছে বিজেপি তৃণমূলের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। রাজ্যের ৬৮টি তফসিলি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ৩৪টি আসন তৃণমূল পেয়েছিল। বিজেপি পেয়েছিল ৩৩টি আসন। আসনের নিরিখে তৃণমূল একটি আসনে বিজেপির চাইতে এগিয়ে থাকলেও ভোট প্রাপ্তির শতকরা হিসেবে তেমন উল্লেখযোগ্য ফারাক কিন্তু ছিল না। তাই এবার ঘাটতি পূরণে তৃণমূল কোমর বেঁধে তফসিলি ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় প্রচারে নামতে চলেছে।
প্রশান্ত কিশোর তফসিলি এলাকায় তৃণমূলের বিপর্যয়ের বিষয়টি আগেই লক্ষ্য করেছেন। এর ফলে তফসিলি ও আদিবাসী এলাকায় তৃণমূলের নেতাদের বদলও করেছেন প্রশান্ত কিশোর। তুলে এনেছেন নতুন মুখ। এই সব এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে তৃণমূল আর সময় নষ্ট করতে চাইছে না। এর ফলেই শুরু হচ্ছে আদিবাসী ও জনজাতিদের নিয়ে “গণভোজের” আয়োজন। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সব এলাকায় সভা করতে গিয়ে বার বার বলেছেন, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে শূন্য হাতে ফিরিয়েছেন, এবার বিমুখ করবেন না। এবার দেখা যাক প্রশান্ত কিশোরের প্রেসক্রিপশনে তৃণমূলের আদবাসী ও জনজাতি অধ্যুষিত বিধানসভার ভোট ঘাস ফুলে ফেরে কিনা।