করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা: এশিয়ায় সেরা হল কলকাতা বিমানবন্দর
টানা লকডাউন পর্বে বন্ধ ছিল যাত্রীবাহী উড়ান পরিষেবা। আনলক (Unlock) পর্বে তা চালু হওয়ার পর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিতে হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। প্রথম পর্যায়ে ট্রেন বন্ধ থাকার ফলে বিমানের উপরই ভরসা করেছেন যাত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের জন্য এশিয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা অর্জন করেছে কলকাতা বিমানবন্দর।
২০২০ সালের অধিকাংশ সময়টাই কেটেছে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে। সারা বছরে করোনা মোকাবিলায় বিমানবন্দরগুলি কেমন ব্যবস্থা নিয়েছিল, তা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে এয়ারপোর্টস কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল। ফলাফলও প্রকাশ করেছে তারা। তাতে বেশ কয়েকটি বিভাগে পুরস্কারপ্রাপক বিমানবন্দরগুলির নামও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগে এশিয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পেয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর। এশিয়ার মধ্যে সাতটি বিমানবন্দরকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ভারতেরই রয়েছে তিনটি। কলকাতা ছাড়াও এই তালিকায় দেশের মধ্যে রয়েছে আরও দু’টি বিমানবন্দর। চণ্ডীগড় এবং পুনে। এছাড়া এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের তালিকা অনুসারে এশিয়ার মধ্যে পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় রয়েছে বেজিং ও ইন্দোনেশিয়ার বিমানবন্দর।
এই সাফল্যে খুশি কলকাতা বিমানবন্দর (Kolkata Airport) কর্তৃপক্ষ। অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, এয়ারপোর্টস কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল যাত্রী পরিষেবার ক্ষেত্রে যাবতীয় বিষয় খুঁটিয়ে দেখে ও বিচার বিশ্লেষণ করে পুরস্কৃত করেছে। এটা গর্বের বিষয়। এয়ারপোর্ট অ্যাডভাইসারি কমিটির চেয়ারম্যান সৌগত রায় বলেন, কোভিডের সময় যথেষ্ট ভালো কাজ করেছে কলকাতা বিমানবন্দর। এই সাফল্যে আমি খুশি। বিমানবন্দরের সব কর্মীকে অভিনন্দন জানাই।
বর্তমানে মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা থেকে কলকাতায় আসা যাত্রীদের করোনা (Coronavirus) নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এব্যাপারে মঙ্গলবার সব এয়ারলাইন্সগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে রাজ্য সরকার। যাত্রীদের আরও সচেতন করতে এয়ারলাইন্সগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন যাত্রী ওই চার রাজ্য থেকে আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়াই বিমানবন্দরে আসেন। পরে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাই যাত্রীদের সচেতন করতে এয়ারলাইন্সগুলির ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।