দেশ বিভাগে ফিরে যান

বাড়ছে সংক্রমণ, দ্বিতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা

March 15, 2021 | 2 min read

একদিনে সংক্রমণ ২৫ হাজারেরও বেশি। স্পষ্ট করে বললে ২৫ হাজার ৩২০ জন। তবে কি আসছে করোনার নতুন ঢেউ? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না কেন্দ্র। আট রাজ্যে লাগাতার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বেগে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। পাশাপাশি ডেনমার্ক এবং অস্ট্রিয়ায় ভ্যাকসিন (Vaccine) নেওয়ার পর দুই ব্যক্তির রক্ত জমাট বেঁধে মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তা আরও বেড়েছে। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রক শীঘ্রই টিকাকরণের বিশেষ রিভিউ করবে বলে ঠিক করেছে। সামনেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। তাই উপযুক্ত কোভিড-বিধি না মানলে শীঘ্রই ফের নতুন করে করোনা সংক্রমণের ঢেউ আসতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নয়াদিল্লি এইমসের ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া।

কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্যকে টিকাকরণে দ্রুত গতি বাড়িয়ে সংক্রমণের সম্ভাবনা রোখার পরামর্শ দিয়েছে। তবে কেন্দ্রে বসে মোদি সরকার (Modi Govt) রাজ্যগুলিকে যতই পরামর্শ দিক, ‘ঘরামির ঘর ছ্যাঁদা’র মতো অবস্থা হয়েছে! প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাতে লাগাতার কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। করোনা কব্জায় রাখতে হিমশিম খাওয়া দেশের আট রাজ্যের মধ্যে চারটিই (গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং কর্ণাটক) বিজেপি শাসিত। এই তালিকায় রয়েছে নির্বাচনী জোটের রাজ্য তামিলনাড়ুও। গুজরাতে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৫৮ জন। কিন্তু ১৪ মার্চে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা হয়েছে ৭৭৫ জন। কর্ণাটকে গত দু’সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমণ এক লাফে ৩৪৯ থেকে হয়েছে ৯২১ জন। অন্যদিকে, পাঞ্জাব, কেরল এবং মহারাষ্ট্রের মোট ১৫ টি জেলাতেই রয়েছে দেশের ৭৭ শতাংশ সক্রিয় আক্রান্ত। এরই মধ্যে করোনার টিকাকরণ চলছে।

এখনও পর্যন্ত এই টিকাকরণ কর্মসূচিতে প্রায় তিন কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে দুই ডোজের সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন পেয়েছেন মাত্র ৫৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৭৪ জন। স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রত্যক্ষ কোভিড যোদ্ধারাই এই সম্পূর্ণ ডোজ পেয়েছেন। বাকি ষাটোর্ধ্ব যেকোনও নাগরিক এবং ৪৫ বছরের বেশি বয়সি যেকোনও কোমরবিড রোগীদেরও টিকা দেওয়ার কাজ এগচ্ছে। কিন্তু তারই মধ্যে যেভাবে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর আসছে, তাতে কেন্দ্রের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। উদ্বেগ বাড়িয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে বিদেশে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনাও। যদিও ভ্যাকসিনের কারণেই মৃত্যু কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওই ভ্যাকসিনই ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করছে কোভিশিল্ড নামে। সরকারি টিকা কর্মসূচিতে তা দেওয়াও হচ্ছে। তাই ভারতে এখনও পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত কোনও ঘটনা না ঘটলেও সতর্ক থাকছে কেন্দ্র।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India, #covid19

আরো দেখুন