উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর, শিখাকে নিয়ে অসন্তোষ কর্মীদের

March 20, 2021 | 2 min read


দুর্নীতিগ্রস্তদের মঞ্চ হয়ে উঠেছে বিজেপি(BJP)। প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে শুক্রবার এমনই অভিযোগ করেন জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) জেলা বিজেপির সম্পাদক অলোক সেন(Alok Sen)। তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বিজেপিকে বিভিন্ন দলের ছাঁটাই ও বাতিল নেতাদের ধর্মশালা বলে সরাসরি আক্রমণ করেন দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি নৃপেন দাস।  শিলিগুড়িতে শঙ্কর ঘোষকে এবং ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি আসনে  শিখা চট্টোপাধ্যায়কে(Sikha Chatterjee) প্রার্থী হিসেবে বিজেপির একটি বড় অংশ মেনে নিতে পারছে না। অলোক সেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় ছিলেন। কিন্তু তিনি টিকিট পাননি। তাই দলকে বার্তা দিতে ওই আসনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এদিন তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, পুরনো কর্মীদের যেভাবে বাতিল করে সদ্য অন্য দল থেকে আসা নেতাদের নিয়ে টিকিট দেওয়া হচ্ছে তাতে এর  পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।

এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের নেতাদের লোকসভা নির্বাচনে সাফল্যে দলের দক্ষিণবঙ্গের নেতাদের ঈর্ষার দিকটিও রয়েছে। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসনেই বিজেপি জিতেছিল। এ জন্য বিজেপির পুরনো কর্মী এবং এখানকার দায়িত্বে থাকা নেতাদের কৃতিত্ব অনস্বীকার্য। সেই তালিকায় রাজ্য নেতা দীপেন্দ্রনাথ প্রামাণিক, বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী ও রথীন্দ্র বসু ছিলেন। কিন্তু দেখা গেল বিজেপির যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে এঁদের কারও নাম নেই। লোকসভা নির্বাচনে সাফল্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তাদেঁর গুরুত্ব বেড়েছিল। এটা ষড়যন্ত্রকারীরা মেনে নিতে পারেননি। তাই এঁদের গুরুত্বহীন করার জন্য প্রার্থী করা হয়নি। আসলে এক-দু’জন নিজেদের পুরনো দল থেকে আসা নেতাদের বিজেপির টিকিটে বিধায়ক বানিয়ে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মঞ্চে তাদের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্যই প্রার্থী তালিকায় দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের জায়গা দেননি। কিন্তু লোকসভার সাফল্য দেখে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের স্বপ্ন দেখা ভুল হবে। 


শিখা চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থীরার ক্ষেত্রে অলোকবাবুর প্রতিবাদের কারণ, তিনি ২০১৭ সালে তৃণমূল থেকে এসে বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের বুথেই জিততে পারেননি। সেখানে কোন যুক্তিতে বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট পেলেন শিখাদেবী। এদিকে শিলিগুড়িতে শঙ্কর ঘোষকে প্রার্থী করায় বিজেপির একটি বড় অংশ ক্ষুব্ধ। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি নৃপেন দাস এদিন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমরা দলের পুরনো কর্মী। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যেটা দেখলাম তাতে এই বিজেপির কোনও নীতি, আদর্শ নেই। বিভিন্ন দলের ছাঁটাই ও বাতিল নেতাদের ধর্মাশালা হয়ে উঠেছে এই দলটি। শঙ্কর ঘোষকে প্রার্থী হিসেবে আমরা কোনওমতেই মেনে নিতে পারছি না। তিনি টানা ২৫ বছর  কমিউনিস্টের কথা বলেছেন। বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক ও হিন্দুদের দল বলেছেন। আজ তাঁকে নিয়েই মাতামাতি করা হচ্ছে। এ ধরনের নেতাদের জন্য রাজনীতি কলুষিত হচ্ছে। এঁদের কোনও নীতি নেই, এঁরা সুযোগসন্ধানী। 


বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব এই নীতিহীনতা নিয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি অন্য দল থেকে আসা সুবিধাবাদী সুযোগসন্ধানী প্রার্থীকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেবেন বলে এদিন জানান নৃপেনবাবু। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে তালিকা করে দিয়েছে সেইমতো প্রত্যেক প্রার্থীকে জেতানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করছি। নৃপেনবাবুর মতো যাঁরা টিকিট না পেয়ে এসব বলছেন তা নিয়ে ভাবছি না। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#North Bengal, #bjp, #BJP candidate

আরো দেখুন