মুর্শিদাবাদে বিজেপি প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ অব্যাহত
প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে। কোথাও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ, কোথাও দলীয় অফিসে তালা ঝুলিয়ে দলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি শুরু হয়। সূতির প্রার্থী বদলের দাবিতে দলীয় অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান কর্মী-সমর্থকরা। দলের জেলা নেতাদের অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। সাগরদিঘিতে ভূমিপুত্র প্রার্থীর দাবিতে দলের একাংশ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। কান্দিতেও বিজেপির নেতা কর্মীরা প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হন। ফরাক্কায় দলের বড় অংশের নেতা কর্মীরা প্রার্থী মানতে নারাজ। প্রার্থী বদল করার জন্য তাঁরা দলের জেলা সভাপতির কাছে লিখিত দাবি জানাবে। জলঙ্গিতেও বিক্ষোভের আঁচ রয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উপযুক্ত প্রার্থী না পেয়ে কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে গত বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত সৈনিকদের প্রার্থী করা হয়েছে। তাতে নেতা-কর্মীরা ব্যাপক ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি, পরাজিত হওয়ার পর তাঁরা কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেনি। তাই তাঁদের মেনে নেওয়া হবে না। এক সপ্তাহ আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন গৌতম রায়। পুরনো নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে বিজেপি তাঁকেই কান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করেছে। সেটাও মেনে নিতে পারছেন না পুরনো দিনের নেতা কর্মীরা। তাঁরা বলেন, ওই নেতা তৃণমূলে থাকার সময় এলাকায় ছড়ি ঘুরিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীদের মনোনয়নপত্র তিনি জমা করতে দেননি। তাই তাঁকে এভাবে বরণ করে নেওয়ার কোনও যুক্তি ছিল না। তাঁর পরিবর্তে পুরনো দিনের কোনও নেতাকে প্রার্থী করা হলে ভালো হতো। যদিও গৌতমবাবু বলেন, সবার সঙ্গে কথা বলা হবে।
দলের একাংশের দাবি, মুর্শিদাবাদ জেলায় দু-তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র বাদ দিয়ে এমনিতেই বিজেপির সংগঠন অত্যন্ত দুর্বল। তারপরে এমন বিদ্রোহ শুরু হওয়ায় নেতৃত্ব অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি সুজিত দাস বলেন, সবার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। দলের স্বার্থে সবাই একসঙ্গে কাজ করবেন।
বিজেপির (BJP) এক নেতা বলেন, ফারাক্কা, জলঙ্গি, নবগ্রাম বা কান্দি কেন্দ্রে ঠিক মতো প্রার্থী দেওয়া হলে যথেষ্ট ভালো ফল হতো। নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য দলকে খেসারত দিতে হবে। পুরনো দিনের নেতা কর্মীরা অনেকেই কাজ করবেন না।