দুয়ারে ভোট, স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ কমানোর নির্দেশিকা প্রত্যাহার কেন্দ্রের

গতকালই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলির (small saving schemes) সুদের হার এক ধাক্কায় অনেকটাই কমানোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। এরপরই সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন সাধারণ মানুষ। প্রমাদ গুনে রাত পোহাতেই সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করল কেন্দ্র। আজ টুইট করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন একথা জানিয়েছেন।
‘আচ্ছে দিনে’র স্বপ্ন দেখানো নরেন্দ্র মোদি সরকার গতকাল আর্থিকভাবে চরম বিপদে ফেলে দিয়েছিল সাধারণ মানুষকে। আজ ১ এপ্রিল থেকে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলির সুদের হার এক ধাক্কায় অনেকটাই কমানোর নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে ডাকঘরের সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সুদ কমবে। পোস্টাল সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের হার ৪ থেকে কমে হওয়ার কথা ছিল ৩.৫ শতাংশ।
এক বছরের মেয়াদি আমানত বা টাইম ডিপোজিটের সুদ ৫.৫ থেকে কমে হওয়ার কথা ছিল ৪.৪ শতাংশ। দু’বছরের মেয়াদি আমানত ৫.৫ থেকে কমে হওয়ার কথা ছিল ৫ শতাংশ। তিন বছরের ক্ষেত্রে তা কমে হওয়ার কথা ছিল ৫.১ শতাংশ। পাঁচ বছরের আমানতে সুদের হার ৬.৭ থেকে কমে হওয়ার কথা ছিল ৫.৮ শতাংশ। পাঁচ বছরের রেকারিং ডিপোজিটের বা আরডি’র সুদের হার ৫.৮ থেকে কমে হওয়ার কথা ছিল ৫.৩ শতাংশ।
বড় ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল বয়স্কদের সঞ্চয় প্রকল্পে। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে সুদের হার ৭.৪ শতাংশ থেকে কমে হওয়ার কথা ছিল ৬.৫ শতাংশ। মান্থলি ইনকাম অ্যাকাউন্ট যা এমআইএস নামে পরিচিত, তার সুদের হার ৬.৬ শতাংশ থকে হওয়ার কথা ছিল ৫.৭ শতাংশ। ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে সুদের হার রাখা হয়েছে ৫.৯ শতাংশ। তা ছিল ৬.৮ শতাংশ।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফের সুদ ৭.১ থেকে এক ধাক্কায় কমিয়ে ৬.৪ শতাংশ করা হয়েছে। কিষাণ বিকাশ পত্রের সুদের হার ৬.৯ থেকে কমিয়ে ৬.২ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে আগে যেখানে ১২৪ মাসে এই স্কিমের মেয়াদ শেষ হত, তা এখন থেকে হবে ১৩৮ মাসে। সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্টের সুদের হার ৭.৬ থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৬.৯ শতাংশে।
অনেকেই বলছে, চার রাজ্যে চলছে নির্বাচন। আজ বাংলা এবং অসমে নির্বাচন। তাই, ভোটের মুখে এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। তাই, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার।