করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত বলিউড
করোনার (Covid 19) দ্বিতীয় ঢেউ মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত রবিবার একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে আরও একবার আংশিক লকডাউনের দিকে এগচ্ছেন। সেই সঙ্গে আরও একবার রাজ্যের সমস্ত সিনেমা হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তিনি। যদিও ফিল্ম ও টেলিভিশনের শ্যুটিং আপাতত চলবে।
এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। মাল্টিপ্লেক্স, সিঙ্গল স্ক্রিন, ডিস্ট্রিবিউটর ও বিভিন্ন সংগঠনের কর্তারা ছাড়াও এই বৈঠকে বলিউডের জনপ্রিয় প্রযোজক-পরিচালক রোহিত শেট্টি উপস্থিত ছিলেন। অক্ষয়কুমার অভিনীত ও রোহিত পরিচালিত ‘সূর্যবংশী’ ছবিটি আগামী ৩০ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই অবস্থায় রোহিত তাঁর ছবি মুক্তি স্থগিত রেখেছেন। সূত্রের খবর, তাঁর এই সিদ্ধান্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বাহবাও দিয়েছেন রোহিতকে। সমস্ত পক্ষ থেকেই সরকারের পাশে থাকার জন্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মাল্টিপ্লেক্স, সিঙ্গল স্ক্রিনের মালিকদের দাবি, প্রায় এক বছর ধরে সিনেমা হলগুলো ধুঁকছে। সেই কারণে সরকার যেন তাদের বিদ্যুতের বিল ও করে ছাড় প্রদান করেন। তার সঙ্গে কিছু ভর্তুকির দাবিও তাঁরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে বলিউডে প্রত্যেকদিন একের পর এক অভিনেতা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। সোমবার অভিনেতা ভিকি কৌশল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘সমস্ত রকমের সুরক্ষাবিধি মেনে চলার পরেও করোনা আক্রান্ত হয়েছি। এই মুহূর্তে চিকিত্সকদের কথা মতো ওষুধ খাচ্ছি এবং বাড়িতেই রয়েছি। আমার সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করছি।’ সোমবার করোনা আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ, ভূমি পেডনেকরের নামও। তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে জানিয়েছেন, করোনার সামান্য লক্ষণ রয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে আসা সকলকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তিনি এই পরিস্থিতিটাকে একেবারেই হাল্কা করে না নেওয়ার অনুরোধ করছেন অনুরাগীদের। এদিন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন গায়ক অভিজিৎ সাওয়ান্ত, হিন্দি ছোটপর্দার পরিচিত মুখ নারায়ণী শাস্ত্রী এবং কণিকা মান। গত সপ্তাহেই মাদক কাণ্ডে এনসিবি অভিনেতা আজাজ খানকে গ্রেপ্তার করে। এদিন আজাজের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বি-টাউনের একের পর এক তারকা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় নির্দিষ্ট শিডিউল মেনে শ্যুটিংও বার বার থমকে যাচ্ছে। এর ফলে টেকনিশিয়ানরা যেমন সমস্যায় পড়ছেন, তেমনই ছবি তৈরির খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন প্রযোজকরাও।