দেশ বিভাগে ফিরে যান

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরম শঙ্কায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

April 8, 2021 | 2 min read

 পেট্রল-ডিজেল এবং ডাল, ভোজ্য তেলের মতো অন্তত ছ’প্রকার খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিই এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের(RBI) চরম উদ্বেগের কারণ। আর তার জেরেই সুদের হারে পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্তই নিল আরবিআই। তিনদিন ধরে নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকের পর। এই নিয়ে লাগাতার প্রায় ন’মাস সুদের হারে কোনও বদল ঘটায়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটি। অর্থৎ রেপো ও রিভার্স রেপো রেট একই থাকছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যদি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অবিলম্বে কোনও স্থিতিশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না পারে, তাহলে পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। মূল্যবৃদ্ধির(Price Hike) আশঙ্কার মধ্যেই আবার করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি ও লকডাউনের সম্ভাবনা রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে বড়সড় চিন্তায় ফেলেছে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকের পর বলেছেন, ‘অর্থনীতির চাঙ্গা হওয়া নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এখনও আমরা মনে করি, চলতি আর্থিক বছরের জিডিপি বৃদ্ধিহার হতে চলেছে ১০.৫ শতাংশ। কিন্তু এই আর্থিক বৃদ্ধির পথে একমাত্র সংশয়ের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার নতুন সংক্রমণ এবং লকডাউনের হাতছানি।’ বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যেই আংশিক লকডাউন ও নাইট কার্ফু চালু হয়েছে। তাই বিভিন্ন শিল্পোৎপাদন ও পণ্যের চাহিদায় ভাটা পড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই প্রবণতা বাড়তে থাকলে আবার গত বছরের মন্দার স্মৃতি ফিরে আসতেই পারে। গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, ‘গ্রামীণ ভারতের চাহিদা ও উৎপাদনের প্রবণতা বৃদ্ধি এখনও অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হয়েই রয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মনে করছে, অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি মাপকাঠিই এখনও ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু এই প্রবণতা ধরে রাখা যাবে কি না, তা নির্ভর করবে করোনা সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণ এবং ভ্যাকসিন প্রদানের হারের উপর।’ 


মূল্যবৃদ্ধিকে শুধু ভারতের নয়, গোটা বিশ্বেরই চরিত্র হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর নতুন আর্থিক বছরের প্রথম নীতি নির্ধারক বৈঠকের ঠিক আগেই শুরু হয়েছে রাজ্যে রাজ্যে সংক্রমণ এবং তা ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা। এটাই ছিল কমিটির দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ। বৈঠকে গ্রহণ করা প্রস্তাবই তার প্রমাণ। আরবিআই মনে করছে, চলতি আর্থিক বছরে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। শুধু কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপাতে চায়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাই বলা হয়েছে, রাজ্যগুলির ভূমিকাও হতে চলেছে তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২০-২১ আর্থিক বছরের শেষ ত্রৈমাসিকের তুলনায় আগামী দুই ঩ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির হার যে বাড়তে চলেছে, তেমন আভাস দিয়েছে নীতি নির্ধারণ কমিটি। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন