কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

বেলা গড়াতেই শহরতলির ভোটে উধাও গেরুয়া নেতা, কর্মীরা

April 11, 2021 | 2 min read

সকাল ৯টা ১০। কসবা বিধানসভা কেন্দ্র। ভগবান চন্দ্র নারদা বালা খটিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ। ভোট দিয়ে বেরিয়ে চেন চিন চুন জানালেন, বাড়ি থেকে বুথে আসার পথে কোথাও বিজেপির ক্যাম্প অফিস চোখে পড়েনি। কেন্দ্রের শাসক দল কি শুধু খাতায়-কলমে? প্রশ্ন তাঁর।দুপুর ২টো। যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্র। বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু নস্কর প্রকাশ্যেই স্বীকার করলেন, কোনও লুকোচুরি করব না। সত্যিই এবার আমাদের বুথ ক্যাম্প অফিস কম। অনেক কর্মী বিভিন্ন কারণে ক্যাম্পে বসতে রাজিও হননি।


বিকেল ৪টে। টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। বিজয়গড়ে সিপিএমের পার্টি অফিস ভোলা বসু স্মৃতি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেটে সুখটান দিয়ে সিপিএম প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট সুব্রত দত্ত বললেন, লাল পার্টিই ময়দানে। বিজেপিকে তো আতসকাচ দিয়ে খুঁজতে হচ্ছে।চৈত্র শেষের হাওয়ায় উড়ছে পদ্মের পতাকা। রাস্তার ধারে চোখে পড়ছে ফ্লেক্স, ব্যানার। ব্যস, ওই পর্যন্তই! খাস কলকাতার বুকে ছ’টি রাজ্যের ভোট ময়দানে খুঁজেই পাওয়া গেল না গেরুয়া বাহিনীকে। অধিকাংশ জায়গাতে তাদের ক্যাম্প নেই। চতুর্থ দফায় জেলার পাশাপাশি ভোটগ্রহণ ছিল কলকাতা ও তার সংলগ্ন বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম, যাদবপুর, টালিগঞ্জ, কসবা এবং মেটিয়াবুরুজ আসনে। দু’-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ছ’টি কেন্দ্রেই ভোট মিটেছে শান্তিতেই।


এদিন সবার নজর ছিল টালিগঞ্জ কেন্দ্রে অরূপ বিশ্বাস বনাম বাবুল সুপ্রিয়ের লড়াইয়ের দিকে। সংযুক্ত মোর্চার তরফে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ। দক্ষিণ কলকাতার এই কেন্দ্রের রাস্তায় বিজেপির কর্মীদের একেবারেই চোখে পড়েনি। ক্যাম্পও কার্যত ছিল না। বিজেপির যুক্তি, আড্ডা-গল্প হয় বলে ক্যাম্পের ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়া হয়নি। দেবদূতকে অবশ্য পূর্ব পুঁটিয়ারিতে তৃণমূলের ক্যাম্পে চা খেতে দেখা গিয়েছে। 


যাদবপুর কেন্দ্রে দিনভর ঘুরেছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবব্রত মজুমদার। ভোট তাঁর পক্ষেই এসেছে বলে দাবি। তবে বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু নস্কর যে সেভাবে লড়াইতে নেই, তেমনই ছবি উঠে এসেছে। সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী অবশ্য সকাল থেকেই ময়দানে ছিলেন। মহিলা এজেন্টকে মারধর, লঙ্কার গুঁড়ো ছেটানোর অভিযোগও এনেছেন। তবে সিপিএমের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে ধরা পড়েনি পুরনো আত্মবিশ্বাস। 
কসবায় বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খানকে দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। জড়িয়ে পড়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসাতেও। তিনি একা ঘুরেছেন। রাস্তায় দেখা মেলেনি বিজেপি কর্মীদের। বেহালা পূর্বের বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকার আবার বেশিরভাগ সময় ঘুরেছেন ১৪২, ১৪৩ এবং ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাজিকের মতো তাঁর ‘বডি ল্যাঙ্গুয়েজ’ চেঞ্জ হতে থাকে। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে বিজেপির বুথ ক্যাম্প ছিল অত্যন্ত কম। ১২টা পার হতে না হতে সেসব ক্যাম্পও কর্পূরের মতো উবে যায়। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp

আরো দেখুন