রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

শীতলকুচির ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ বিশিষ্টদের

April 12, 2021 | 2 min read

শীতলকুচি। একুশে বঙ্গের ভোট রাজনীতিতে নয়া মাত্রা যোগ করেছে কোচবিহারের (Cooch Behar) এই এলাকা। শনিবার, ভোটের দিন এখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ঝরেছে চার-চারটি তরতাজা প্রাণ। এ নিয়ে রজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। দায় কার, তা নিয়েও চলছে চর্চা। সাধারণ মানুষ থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। বাদ যাননি সমাজের বিশিষ্টরাও (Intellectuals)। রবিবার ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হলেন ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেন, শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, সংগীতকার কবীর সুমন-সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব। শীতলকুচির ঘটনা তাঁদের মনে করিয়ে দিচ্ছে নন্দীগ্রামে (Nandigram) গুলিচালনার স্মৃতি। তাই সেদিনের মতো আজও উর্দিধারীদের কাণ্ডে প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি, বিজেপি বিরোধী স্বরও শোনা গেল তাঁদের সমাবেশে।

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ। নন্দীগ্রামে (Nandigram) জমি আন্দোলন চলাকালীন তা দমন করতে পুলিশের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তৎকালীন বাম সরকারের এই দমননীতির বিরোধিতায় সেদিন গর্জে উঠেছিল সুশীল সমাজ। সেদিনও পথে নেমে নিন্দায় সরব হতে দেখা গিয়েছি তাঁদের। তখন তাঁদের নিশানায় ছিল রাজ্যের শাসকদল এবং তার নিয়ন্ত্রণাধীন উর্দিধারীরা। আজও ভোটের দিন শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের প্রাণহানির ঘটনায় কাঠগড়ায় সেই শাসক শিবির এবং তার অধীনে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র পুলিশ। প্রতিবাদ সেই দমনপীড়ন নীতির বিরুদ্ধে।

শনিবার শীতলকুচিতে গুলিচালনার ঘটনায় রবিবার দিনভর কালা দিবস পালনের ডাক দিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। কালো ব্যাজ পরে ব্লকে ব্লকে বিক্ষোভ হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রায় সারাদিন কালো কাপড় নিয়ে প্রতিবাদী মূর্তি হয়ে উঠেছিলেন। সেই একই দিনে প্রতিবাদে পথে নামলেন বাংলার বিশিষ্টজনেরা। ব্রাত্য বসু, কবীর সুমন, শুভাপ্রসন্নরাও হাতে প্ল্যাকার্ড ধরলেন। তাতে নানা বার্তা। কোথাও লেখা – ‘এই গণহত্যাকে তীব্র ধিক্কার জানাই’, তো কোথাও লেখা – ‘Bullet revange by Ballot’। কোনও প্ল্যাকার্ডে প্রশ্ন – ‘বহিরাগত বাহিনীর গুলিতে চলে গেল চার বাঙালির প্রাণ, দায় কার?’

কবীর সুমন কার্যত চড়া সুরেই বিজেপি বিরোধিতার বার্তা দিলেন। তাঁর কথায়, ”এভাবে বাঙালিকে দমন করা যাবে না। বিজেপি যদি মনে করে থাকে, এই অত্যাচার চলবে, চলবে না। বাঙালি রুখে দাঁড়াতে জানে।” এভাবেই রবিবারের বিকেলে ভাষণে, পোস্টারে, সংকল্পে, দৃঢ়তায় নিরীহ জনতার উপর উর্দিধারীদের গুলির প্রতিবাদ দেখল কলকাতার রাজপথ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#tmc, #cooch behar, #Sitalkuchi, #intellectuals

আরো দেখুন