দেশ বিভাগে ফিরে যান

কোভিশিল্ডের চেয়েও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে কোভ্যাক্সিন!

April 25, 2021 | 2 min read

ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ (Covaxin) কিনতে রাজ্য সরকারগুলির খরচ পড়বে ডোজ প্রতি ৬০০ টাকা। শনিবার এই ঘোষণা করেছে হায়দরাবাদের ওই সংস্থাটি। সেই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে এক একটি ডোজের দাম নির্দিষ্ট করা হয়েছে ১,২০০ টাকা করে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকা ‘কোভিশিল্ড’-এর এক একটি ডোজের দাম আগেই জানিয়েছিল এ দেশে ওই টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)। রাজ্য সরকারের জন্য তাদের তৈরি করোনার টিকার একটি ডোজের দাম ধার্য করা হয়েছে ৪০০ টাকা। অন্য দিকে, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তা কিনতে হবে ৬০০ টাকায়। এই দাম নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছে পুণের সংস্থাটি। তবে শনিবার রাতে ভারত বায়োটেকের টিকার (Covid Vaccine) দাম ঘোষিত হতেই দেখা গেল, তা সিরামকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।

‘কোভ্যাক্সিন’ দাম এত বেশি কেন হল? এ নিয়ে নিজেদের যুক্তিও দিয়েছে ভারত বায়োটেক। সংস্থার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণ এম ইল্লার দাবি, কোভিডের টিকা তৈরিতে যে খরচ হয়েছে, তার ব্যয়ভার তুলতেই এত দাম রাখা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই টিকা উৎপাদন-সহ তার পরীক্ষানিরীক্ষার খরচও মূলত সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে এসেছে।

টিকার দাম নিয়ে শুধুমাত্র ভারত বায়োটেক-ই নয়। সমালোচনার মুখে পড়েছে সিরামও। প্রসঙ্গত, চলতি টিকাকরণ কর্মসূচিতে ‘কোভ্যাক্সিন’ এবং ‘কোভিশিল্ড’-এর ডোজই দেওয়া হচ্ছে। তবে এ দেশের সিরামের টিকার ডোজের দাম নিয়ে ইতিমধ্যেই সিরামকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অনেকে। কেন্দ্রকে দেড়শো টাকায় এক একটি ডোজ বিক্রি করলেও রাজ্য সরকারগুলিকে তা কেন ৪০০ টাকায় কিনতে হবে অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য সে দাম কেন ৬০০ টাকা— সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও সিরামের শীর্ষকর্তা আদার পুনাওয়ালার মন্তব্য, “এই মুহূর্তে যে দু’টি টিকা ভারতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার মধ্যে ‘কোভিশিল্ড’-ই সবচেয়ে সস্তা।” তাঁর আরও যুক্তি, “বেসরকারি হাসপাতালে অত্যন্ত নগণ্য সংখ্যক টিকা বিক্রি করা হবে। সেই সঙ্গে কোভিড বা অন্যান্য মারণ রোগের টিকা অথবা চিকিৎসার খরচের তুলনায় এই দাম এখনও অনেক কম।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Coronavirus, #Coronavirus in India, #Covaxin

আরো দেখুন