হুগলিতে ভুয়ো খবর ছড়ানো বন্ধ করতে সক্রিয় প্রশাসন
বিজেপির (BJP) কর্মীদের বাড়িতে ফোন করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)নেতারা। ভয় দেখাতে নয়, সাহস দিতে। হুগলির (Hooghly) বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে ফোন নম্বর দিয়ে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, বিধায়ক অসিত মজুমদাররা। তাঁদের বক্তব্য একটাই, সমস্যায় পড়লেই ফোন করুন। ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে বিজেপি যখন জলঘোলা করতে চূড়ান্ত তৎপর, তখনই শাসকদলের পদক্ষেপ নিয়ে হুগলিতে চর্চা শুরু হয়েছে। জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেরা করছেন শুধু নয়, সমস্ত স্তরের নেতাকে বিরোধীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার রাতে হুগলির পুরশুড়ার একটি বিজেপি পরিবার শাসকদলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছিল। বুধবার সকালেই সেই বাড়িতে ফোন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দিলীপবাবু। তিনি তাঁদের নিজের ফোন নম্বর দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনও হামলা হলেই যেন তাঁকে ফোন করা হয়। দিলীপবাবু বলেন, আমি দলের কর্মীদের বলেছি, আমার নম্বর সমস্ত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পৌঁছে দিতে। আমি নিজে তাঁদের পাশে থাকব। কে হামলা করছে দেখি! অনেক ক্ষেত্রেই ভুয়ো হামলার খবর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি কর্মীরাই পরিকল্পিত হামলা করে পরিস্থিতিকে অন্যরকম করে দেখাতে চাইছে। হামলা ও ভুয়ো হামলা দু’টোই উদ্বেগের। একইভাবে, ভুয়ো হামলার খবর ছড়ানো বন্ধ করতে এগিয়ে এসেছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের কিছু অতি উৎসাহী কর্মী এক বিজেপি সমর্থকের বাড়ির সামনে জমায়েত করেছিল। পরে বিজেপি কর্মীর পরিবার হামলার অভিযোগ তোলে। রাতেই অসিতবাবু নিজে সেই পরিবারের কাছে যান। তাঁদের নিজের ফোন নম্বর দিয়ে যে কোনও প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে বলেন।
অসিতবাবু বলেন, আমি পুলিসকে বলেছি, ওই পরিবারের উপরে কোনও হামলা হলে আমি নিজে থানার সামনে ধর্নায় বসব। চুঁচুড়ায় কোনও গণ্ডগোল হতে দেব না। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যনেতা স্বপন পাল বলেন, নেতৃত্বের প্রশ্রয় ছাড়া হামলা হচ্ছে না কি? সবই নাটক। বিজেপির সাধারণ কর্মীরা অবশ্য কোনও রাজনীতির মধ্যে নেই। তাঁরা স্পষ্ট ভাষায় বলছেন, শাসকদলকে এমন ভূমিকায় আগে কখনও দেখা যায়নি।