রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

আম্পান বনাম যশ: জেনে নিন সব তথ্য

May 24, 2021 | 2 min read

আম্পান পরিণত হয়েছিল সুপার সাইক্লোনে। কোনও ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ কিমি অতিক্রম করলে সেটিকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়। আছড়ে পড়ার দুদিন আগে বঙ্গোপসাগরে থাকার সময় আম্পানের ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ অল্প সময়ের জন্য একবার ঘণ্টায় ২৬০ কিমি ও আরও একবার ২৪০ কিমি ছুঁয়েছিল। যদিও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ কিমি। এই গতিবেগ থাকলে সেটি বেশি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের তকমা পায়। উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে তীব্রতা বেশ কিছুটা হারিয়েছিল আম্পান। আম্পানের আগে পশ্চিমবঙ্গে তিনটি সুপার সাইক্লোন আছড়ে পড়েছিল—১৭৩৭, ১৮৩৩ ও ১৯৪২ সালে।

বঙ্গোপসাগরে থাকা অবস্থায় যশের সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সোমবার এটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে তৈরি হবে। পরের দিন, মঙ্গলবার আরও কিছুটা শক্তিশালী হয়ে ‘বেশি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের’ তকমা পাবে। তবে শক্তি বাড়িয়ে তীব্রতার নিরিখে এটি সুপার সাইক্লোনের ঠিক নীচে থাকা অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা আবহাওয়াবিদরা রবিবার পর্যন্ত নিশ্চিত করে জানাননি। তবে বেশি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই এটির উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা বেশি। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৬ কিলোমিটার অতিক্রম করলে সেটিকে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। আর ঝড়ের গতিবেগ ১১৮ কিলোমিটার পার করলেই তা বেশি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হয়।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই আম্পানের অভিমুখ ছিল পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি উপকূলের আশপাশ দিয়ে আম্পানের কেন্দ্রস্থল স্থলভূমিতে প্রবেশ করে। স্থলভূমিতে ঢোকার পর এটি কলকাতা সংলগ্ন এলাকার উপর দিয়ে যায়। বকখালি দিয়ে স্থলভূমিতে ঢোকার ফলে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছিল।

যশের কেন্দ্রস্থল ঠিক কোন জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে, তা রবিবার পর্যন্ত আবহাওয়াবিদরা জানাতে পারেননি। তবে ওড়িশার পারাদীপ থেকে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও জায়গা হবে বলেই জানানো হয়েছে। তবে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশার সীমানা সংলগ্ন কোনও জায়গা হওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি। তা হলে ঘূর্ণিঝড়ের বেশি প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Super Cyclone

আরো দেখুন