বিয়ের বৈধতা অস্বীকার করে মার্চ মাসেই আদালতে গেছিলেন নিখিল?
সম্প্রতি নুসরত জাহান প্রসঙ্গ রাজ্যে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। বিবাহ বিচ্ছেদ, সন্তান সম্ভবা হওয়া থেকে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক একয়েকদিনে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।
সেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান নিজেই বুধবার দুপুরে একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘নিখিলের সঙ্গে আমি সহবাস করেছি। বিয়ে নয়। ফলে বিবাহবিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।’’
আসলে নুসরতের বক্তব্য এই যে, তাঁরা তুরস্কে গিয়ে সামাজিক বিয়ে করেছেন। কিন্তু দুই ধর্মের মানুষের এই বিয়ে তুরস্কের আইনে অবৈধ। আইনিভাবে বিয়ে হয়নি নুসরত, নিখিলের। সেই খবর প্রকাশের পরেই হইচই শুরু হয়ে যায়।
নুসরতের এই বিবৃতির বিরোধীতা করে নিখিল জৈন আজ দাবি করেন তাঁরা স্বামী- স্ত্রীর মতোই ছিলেন। আইন আইনের পথেই চলবে। এমনকি বিবৃতি দিয়ে নিখিল দাবি করেন যে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করতে তিনি বহুবার নুসরতকে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু আমল দেননি তিনি।
কিন্তু বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে গেছিলেন স্বয়ং নিখিল জৈন। তাও আবার মার্চ মাসে। সেই সময় আদালতে একটি সিভিল স্যুট দাখিল করে তিনি দাবি করেন, তাঁদের বিয়ে আইনি মতে হয়নি।
কাজেই, ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, নুসরত নিজের বিবৃতিতে যা বলেছেন, নিখিলের দায়ের করা পিটিশনেও একই কথা বলা হয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, কেন নিজের জায়গা থেকে সরে এসেছেন নিখিল?