প্রযুক্তি বিভাগে ফিরে যান

একমাসে ২০ লক্ষ ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট ব্যান করেছে হোয়াটস্যাপ

July 16, 2021 | 2 min read

বৃহস্পতিবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা ১৫ মে থেকে ১৫ জুন এই একমাসের মাথায় হেনস্থা, অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, নগ্নতা ও নকল অ্যাকাউন্ট বিভাগে ভারত থেকে ৬৪৬টি রিপোর্ট গ্রহণ করা হয়েছে এবং এই কেসগুলির মধ্যে ব্যবহারকারীর ৩৬৩টি কেসের সমাধান হয়ে গিয়েছে। গত ২ জুলাই ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয় যে ওই একই সময়ের মধ্যে এই ১০টি লঙ্ঘনকারী বিভাগের ৩ কোটিরও বেশি মামলায় পদক্ষেপ করা হয়েছে। অভিযোগ গ্রহণ ও পদক্ষেপ নেওয়ার রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয় পাঁচ কোটির বেশি ব্যবহারকীরী সহ যে নতুন আইটি বিধির জন্য বড় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন, যেখানে প্রত্যেক মাসে অভিযোগের রিপোর্ট প্রকাশ করা যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার হোয়াটসঅ্যাপের (whatsapp) পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‌আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার হল ক্ষতিকর বা অনিচ্ছাকৃত মেসেজগুলি থেকে অ্যাকাউন্টগুলিকে সুরক্ষা দেওয়া।’‌ হোয়াটসঅ্যাপ স্পষ্ট করেছে যে ৯৫ শতাংশের বেশি অ্যাকাউন্ট বাতিল হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় অননুমোদিত ব্যবহার বা বাল্ক মেসেজের জন্য। ফেসবুক মালিকানাধীন সংস্থাটি বলেছে যে ২০১৯ সালের পর থেকে বাতিল হওয়া অ্যাকাউন্টগুলির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে যেহেতু সিস্টেমগুলির পরিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং বাল্ক বা স্বয়ংক্রিয় মেসেজ পাঠানোর প্রবণতার চেষ্টা যত বাড়বে তত বেশি অ্যাকাউন্ট ধরা পড়বে।

এই অ্যাকাউন্টগুলির অধিকাংশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে কোনও ব্যবহারকারীর রিপোর্টের ওপর ভিত্তি না করেই। প্রত্যেক মাসে বিশ্বে গড়ে ৮০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ/‌ অক্ষম করে দেওয়া হয়। রিপোর্টে হোয়াটসঅ্যাপ এও বলেছে, নিষিদ্ধ করার আবেদন, অ্যাকাউন্টকে সমর্থন, পণ্য সমর্থন, সুরক্ষার বিষয় সহ এ ধরনের বিভাগে মোট ৩৪৫টি রিপোর্ট গ্রহণ হয়েছে। এ বছরের ১৫ মে থেকে ১৫ জুন একমাসে ৬৩টি অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

ফেসবুক পরিবারের অংশ ইনস্টাগ্রামও ভারতের পক্ষ থেকে ৩৬টি অভিযোগের রিপোর্ট পেয়েছে ওই সময়ের মধ্যে। রিপোর্টে ইনস্টাগ্রাম বলেছে, ‘‌আমরা ওই ৩৬টি রিপোর্টে একশো শতাংশ প্রতিক্রিয়া করব। আমরা ইতিমধ্যেই ১০টি কেসের সমাধানের জন্য তৈরি হচ্ছি।’‌

এদিকে ২৬ জুন থেকেই ভারতে পুরোদস্তুর চালু হয়ে যায় নয়া আইটি বিধি। সেই বিধি মেনেই মে থেকে জুন পর্যন্ত সংস্থার তরফে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাই সামনে আনা হয়েছে এই রিপোর্টের হাত ধরে

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Whatsapp

আরো দেখুন