শুভেন্দুর মাথাটাই গেছে, তীব্র আক্রমণ কুণালের
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টই তৃণমূলের(TMC) পতন নিশ্চিত করবে। গতকাল এমনটাই বলেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘এই সরকারের যে পরিণতি হওয়ার সেদিকেই যাচ্ছে। আমার স্থির বিশ্বাস, আরেকটা ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।’ আর শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এভার পালটা আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।
শুক্রববার রাতে কুণাল ঘোষ এখটি টুইট করে লেখেন, ‘এলওপি’ (লিমিটলেস অপরচুনিস্ট) নাকি আজ বলেছে রাজ্য সরকার পুরো মেয়াদ চলবে না। একটাই পর্যবেক্ষণ: ভোটের আগে মেরুদণ্ড গেছিল; ভোটের পর মাথাটাও গেছে।
এর আগেও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্দেশে টুইট করেছিলেন কুণালবাবু। লিখেছিলেন, ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অনুরোধ, রিপোর্টের চিত্রনাট্যে ‘অহিংস শান্তিকামী নিরীহ’ অর্জুন সিং, ‘সমাজসেবী’ নিশীথ প্রামাণিক, ‘সহিষ্ণুতা’র সংলাপ দেওয়া মিঠুন চক্রবর্তী বা দিলীপ ঘোষের একটু প্রশংসা অন্তত ঢুকিয়ে দিন। এইটুকু আর বাদ থাকে কেন?’
উল্লেখ্য, হাইকোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পেশ করা রিপোর্ট নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে গতকাল শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মানবাধিকার কমিশনের যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। আজও ১০ জায়গায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন।’ এদিকে তৃণমূলের দাবি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের আর্জি জানানো হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের নাম কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের তালিকায় রাখা হয়েছে।
এদিকে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘ভোটের পর ২৯ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। পানীয় জল, রেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের মানুষ। রাজ্যে আইনের শাসন নেই। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত একাধিক বিজেপি কর্মী। রাজ্যে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। রাজ্যে ভ্যাকসিন নিয়েও দুর্নীতি চলছে।’