হচ্ছে টা কী? বিভাগে ফিরে যান

দেশজুড়ে নাম লেখাচ্ছেন তাবড় তাবড় নেতারা, তৃণমূলের বিজয়রথ অপ্রতিরোধ্য

August 20, 2021 | 2 min read

চলতি বছরের বাংলার হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুপোকাৎ হয়েছে গেরুয়া শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম থামিয়েছেন মোদী- শাহর বিজয় রথের চাকা। আর ঠিক তারপরেই দেশজুড়ে চলতে শুরু করেছে তৃণমূলের বিজয় রথ। ২০২৪- এর লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে দেশজুড়ে সংগঠন গড়ার পরিকল্পনা করেছে বাংলার শাসক দল।

আর চার মাস যেতে না যেতে অনেকাংশেই সফল তারা। মাত্র এ কদিনেই তৃণমূল নিজের ঘাঁটি অনেকটাই শক্ত করে ফেলেছে দিল্লি, মুম্বই, ত্রিপুরা, অসমে। উত্তর- পূর্ব ভারতে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক এখন সংবাদ শিরোনামে। এছাড়াও দেশজুড়ে অন্যান্য দলের তাবড় তাবড় নেতাদের তৃণমূলে যোগদানে বিস্মিত হয়েছে রাজনৈতিক মহল।

ভোটের কিছুদিন আগেই গত ১৩ মার্চ সবাইকে অবাক করে তৃণমূলে যোগ দেন বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা। ২০২৪- এ সরকার পরিবর্তনে বড় ভূমিকা পালন করবে বাংলা। এই বিশ্বাস থেকেই তৃণমূলে আসেন বলে জানিয়েছেন যশোবন্ত সিনহা।

সপ্তাহখানেক আগেই প্রখ্যাত আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। দলে যোগদান নিয়ে তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলই সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। সরকারের প্রতি তারা আক্রমণাত্মক। যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়েছেন, সেটাই তিনি খুঁজছিলেন।

গত ১৬ আগস্ট কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অসমের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। তাঁরও বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে অনুপ্রাণিত তিনি।

এভাবেই একের পর এক দুঁদে নেতা সবাইকে অবাক করে দিয়ে নাম লিখিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। দেশজুড়ে স্থানীয় সংগঠন গড়তেও উঠে পড়ে লেগেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মাত্র চার মাসেই যে সাফল্যের মুখ তারা দেখেছে, বলাই বাহুল্য ২০২৪- এর মধ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে দেশের সর্বাধিক শক্তিশালী দল হয়ে উঠবে তারা।

জল্পনা আছে আরও বেশ কিছু নেতা নাম লেখাতে চলেছেন তৃণমূলে। বার বার কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলকে কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরোধিতা করতে দেখা গেছে। সুস্মিতা দেব কংগ্রেস ছাড়ার পরে নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে যে ২৩ জন কংগ্রেস নেতা দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন কপিল সিব্বল তাঁদের মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি তৃণমূল নেতাদের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতার খবরও সামনে এসেছে। নিজের বাড়িতে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনকে। এরপরেও তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা নেহাৎ উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

কিছু দিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রয়াত প্ৰাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। এবার জল্পনা, দাদার পথেই হাঁটতে পারেন প্রণব কন্যা দিল্লির কংগ্রেস প্রধান শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। অসমের নেত্রী সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগদানের পর তাঁর টুইট সেই বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছে। টুইটে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, আমার দল জেগে উঠুক। তোমাকে অভিনন্দন। তোমার এই সিদ্ধান্তে আমাদের বন্ধুত্বে কোন ফাটল ধরবে না। জানি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তোমার জন্যে কত কঠিন ছিল।

শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা রয়েছে যে তিনি রাহুল গান্ধীর হাত ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরতে পারেন। এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন অসমের প্ৰাক্তন কংগ্রেস সাংসদ কিরিপ চালিহা।

আর কে কে আসেন এই দলে তাই এখন দেখার পালা। সবার মুখে একটাই প্রশ্ন, এবার কাদের পালা? আর কারা হতে চলেছেন ‘দিদির সৈনিক’?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#indian politics, ##politics, #tmc, #HTK

আরো দেখুন