দেশ বিভাগে ফিরে যান

ভাঙনের মুখে ত্রিপুরা বিজেপি? বাড়ল সুদীপ – বিপ্লব দূরত্ব

August 30, 2021 | 2 min read

অনেক হয়েছে আর না—ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ এবার প্রকাশ্যে। কড়া হুঁশিয়ারির রাস্তায় হাঁটলেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা। সোমবারই ত্রিপুরায় আসছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সাংগঠনিক বৈঠকও হওয়ার কথা। তার ২৪ ঘণ্টা আগে, রবিবার রীতিমতো বৈঠক করে প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুদীপ রায় বর্মন সহ বিজেপির একঝাঁক বিধায়ক ও নেতা। রাজ্যের সব বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিনিধি হাজির ছিলেন সেই বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের উদ্দেশে একবাক্যে তাঁদের হুমকি, শেষ সুযোগ দিচ্ছি। শুধরে যান। কর্মীদের কথা শোনা হোক দলে। নতুবা চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর প্রকাশ্যে আসছে বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। আর সেখানে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে বাঙালির ‘সেকেন্ড হোমল্যান্ড’ ত্রিপুরা। ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাত্র এক মাসে আগে আগরতলায় পা রেখেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। তাতেই ফাটল ধরেছে বিজেপির সংগঠনে। সেরাজ্যে প্রতিদিনই শাসক দল ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন কোনও না কোনও নেতা-কর্মীরা। আরও বড় ভাঙনের ইঙ্গিত মিলেছে সুদীপ রায় বর্মন, আশিস সাহা, আশিস দাস সহ একাধিক বিজেপি বিধায়কের কার্যকলাপে। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে বলেও খবর। আর এরপরই  এদিন মহারানি তুলসিবতী বালিকা বিদ্যালয়ের হলঘরে বৈঠকে বসেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সূত্রের খবর, সেখানে ত্রিপুরা সরকারের গাফিলতি ও দলের সাংগঠনিক দুর্দশা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।


বৈঠক শেষে বিপ্লব দেবের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য তথা বর্তমান বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেই ফেলেছেন, ‘দলীয় কর্মীদের কথা শুনতে চাইছে না সরকার ও দল। ফলে কর্মীদের মনে ক্ষোভ জন্মেছে। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না পুরনোদের। এই ভুলের সংশোধন না করাটা অন্যায় ও পাপ।’ ৩০ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ত্রিপুরা সফরে আসছেন বিজেপির একঝাঁক শীর্ষ নেতা। তাদের সঙ্গে কি আলোচনায় বসবেন বিক্ষুব্ধরা? জবাবে সুদীপবাবু বলেন, ‘আমরা দিল্লিকে বারবার বলেছি। ওরা বলে যায়, কিন্তু এখানকার নেতারা কোনও কার্যকরী ভূমিকা নেয় না।’ ত্রিপুরায় প্রতিদিনই তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। সেকথাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মন।


বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের বৈঠকের খবর পৌঁছেছে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। দলের অন্দরে সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, সমস্যা আছে। তবে তা কথা বলে মিটে যাবে। অন্যদিকে, বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য অক্সিজেন জুগিয়েছে তৃণমূলকে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ত্রিপুরায় বিজেপির পতন যাত্রা শুরু। সেটা বুঝতে পেরেছেন সুদীপবাবুরা। তাই এখন আর নীরবে নয়, প্রকাশ্যেই সরব হয়েছেন।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Sudip Ray Barman

আরো দেখুন