ভ্রমণ বিভাগে ফিরে যান

ট্রেন থেকে হোটেল – পুজোর এক মাস আগেই বুকিং ‘ফুল’ বাঙালির

September 14, 2021 | 2 min read

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা এখন দেশজুড়ে। তবে এই পরিস্থিতিতেও পুজোর মরশুমে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট পাওয়া আর ঝিনুক থেকে মুক্ত খুঁজে পাওয়া, দুটোই সমান। ‘অ্যাভেলেভেল’ কোটা শেষ করে অধিকাংশ ট্রেনই এখন ‘ওয়েটিং লিস্টে’র কোটায়। দার্জিলিং থেকে দীঘার হোটেল, হোম স্টেগুলির বুকিং প্রায় শেষের দিকে। ফোন করলেই ওপার থেকে একটাই আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, ‘রুম খালি নেই’। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবরের প্রথম তিন সপ্তাহ ট্রেনের সিট থেকে হোটেলের রুম, প্রায় সবই বুক হয়ে গিয়েছে। পুজোর এক মাস আগেই বুকিং শেষ। বাড়তি চাহিদা রয়েছে পুজোর দিনগুলোতে। 

তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রূকূটিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুজোর প্রস্তুতিতে মত্ত বাঙালিরা। কেউ যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। কেউ দীঘা, মন্দারমণি। তবে এবার দার্জিলিংয়ে করোনার কারণে একাধিক বিধিনিষেধ জারি থাকায় ডুয়ার্স যাওয়ার প্রবণতাই বেশি। ফলে উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলিতে টিকিটের চাহিদা ব্যাপক। বিশেষ করে দার্জিলিং মেল, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে বাড়তি চাপ রয়েছে। এতেই ফের সুদিন ফেরার আশায় বুক বাঁধছেন পূর্ব বর্ধমানে ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সির মালিকরা। 

গতবছর করোনার কারণে পুজোতেও ঘরবন্দি ছিলেন বাঙালিরা। এতে পর্যটন ব্যবসায় ভাটা পড়েছিল। কিন্তু ভ্রমণপিপাসু বাঙালিকে বেশিদিন আটকে রাখা যায় না। তাই দ্বিতীয় ঢেউয়ের রেশ কাটতেই পুজো শুরুর দু’মাস আগে থেকেই ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল বাঙালি। সেইমতো ট্রেনের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেল বুকিং সবটাই সারা। এতে মুখে হাসি ফুটেছে হোটেল মালিক ও ট্রাভেল এজেন্সিগুলির। মানুষের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে এজেন্সিগুলিকে। কারণ সবাই ঘোরার জন্য পুজোর চারদিনকেই বেছে নিচ্ছেন। এই মুহূর্তে ডুয়ার্সের অধিকাংশ হোটেলের বুকিং হয়ে গিয়েছে। যাঁরা এখনও বুকিং করেননি, তাঁরা হোটেল খুঁজতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাঁদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে ২০, ২১ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে জ্বালানির অগ্নিমূল্যের প্রভাব পড়েছে ট্যুরের প্যাকেজে। হোটেল ভাড়া ডুয়ার্স, দার্জিলিংয়ে গাড়ির ভাড়া বেড়েছে। অন্যবার যেখানে তিন হাজার টাকায় গাড়ি পাওয়া যেত, এখন তা পাঁচ হাজার হয়েছে। তবে ভ্রমণপিপাসু বাঙালির পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার উন্মাদনায় ভাটা পড়েনি।   

জেলার এক ট্রাভেল এজেন্সির মালিক রূপম চট্টোপাধ্যায় বলেন, এবছর বুকিং ভালোই হচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষ ডুয়ার্সের দিকে যেতে চাইছেন। সব হোটেলেই বুকিং শেষের দিকে। প্রচুর মানুষ সিকিম ঘুরতে যাওয়ার জন্যও প্যাকেজের খোঁজ করছেন। তবে নতুন করে যাঁরা বুকিং করতে আসছেন, তাঁদের অসুবিধায় পড়তে হবে।

বর্ধমানের মেহেদিবাগানের বাসিন্দা তমাল তা বলেন, গতবার করোনার কারণে বাড়ির আশেপাশের ঠাকুর দেখেই কাটিয়েছি। এবছর ডুয়ার্স যাব। করোনা নিয়ে একটু সাবধানতা বজায় রাখলেই হবে। আর এক বাসিন্দা মুনমুন দাস বলেন, এবছর করোনার প্রভাব অনেকটাই কম। তাই ঘুরতে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে। ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজও নেওয়া হয়ে গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Travelling, #train, #hotel

আরো দেখুন