আমরা ধমকানি চমকানিতে ভয় পাই না: যদুবাবুর বাজারে মমতা
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচন। আজ লড়াইয়ের ময়দানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর সঙ্গে মূল সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারের শেষ লগ্নে এই দুই হেভিওয়েটের উপস্থিতি ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। আবহাওয়া যতই বাধ সাধুক, প্রচারের নিরিখে এগিয়ে তৃণমূলই। অনেকটাই ব্যাকফুটে রাজ্য বিজেপি।
আজ রবিবাসরীয় প্রচারে ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজারে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ থেকে আবারও কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবি তোলেন তিনি। মমতা বলেন, সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস এই ক’দিন অনেক কিছু করার চেষ্টা করবে। ঠান্ডা মাথায় ভোট দেবেন।
রোমে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে মমতাকে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় কেন্দ্রকে আবার আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এর আগে আমার চীন, শিকাগো, সেন্ট স্টিফেন্স -এর সম্মেলনও বন্ধ করেছে। এভাবে কি আটকে রাখা যায়? বাংলাকে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়। যারা হিংসে করে তারা অনুমতি দেয় না, ঠিক বেঠিক কে ঠিক করবে?
বিরোধীদের কটাক্ষ করে মমতা বলেন, তৃণমূল যখন ছোট ছিল তখন গরু ছাগলে খেয়ে নেওয়ার ভয় ছিল। এখন এই দলের জয়জয়কার। যখন মানুষ অসুবিধায় থাকে আমরা তার ধর্ম দেখিনা। আমি কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছিলাম কারণ কংগ্রেসের সাথে সিপিএমের বোঝাপড়া আছে, আমাকে কত মেরেছে সিপিএম।
মোদী সরকারকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে মমতা বলেন, আমরা ধমকানি চমকানিতে ভয় পাই না। জেল, এজেন্সি কিছুকে ভয় পাই না। ওরা যখন লক্ষ কোটি টাকা চুরি করে তখন কিছু হয় না? ভবানীপুর ভারত রক্ষার লড়াইয়ের সূচনা করবে।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা হুঙ্কার দেন, নোটবন্দি করছে, গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে, পিএম কেয়ারস ফান্ডের নামে টাকা তুলে তার হিসেব দিচ্ছে না। উত্তরপ্রদেশে কোভিডের মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। আমরা সৎকার করছি। অসমে মৃতদেহের উপর ‘ডান্সিং ড্রাগন’ -এর মত নাচ নাচছে। লজ্জা করে না! বিজেপি হেরে গিয়ে এজেন্সি, মানবাধিকার কমিশন পাঠাচ্ছে। লজ্জা করে না! আমরা ওদের এলাকায় গেলে ১৪৪ ধারা জারি করে, মারধর করে, আর ওদের বাংলায় অবাধ যাতায়াত।