উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

আলিপুরদুয়ারের বিজেপির ভাঙন অব্যাহত, এবার তৃণমূল যোগ ৫০০ কর্মীর

September 27, 2021 | 2 min read

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই জেলায় বিজেপির সংগঠনের কারিগর তথা তৎকালীন জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে দলে টেনে গেরুয়া শিবিরকে ধাক্কা দিয়েছিল তৃণমূল। তারপর থেকেই ভাঙন অব্যাহত আলিপুরদুয়ারে বিজেপির সংগঠনে। এবার যেমন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন আরও ৫০০ জন।

প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারের ফলাফল রাজ্যের শাসকদলের অনুকূলে যায়নি। গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা তৃণমূলের দশরথ তিরকেকে আড়াই লক্ষ ভোটে হারিয়ে দেন। গত বিধানসভা নির্বাচনেও রাজ্যের একমাত্র জেলা আলিপুরদুয়ারে পাঁচটি আসনেই শূন্য হাতে ফিরতে হয় ঘাসফুল শিবিরকে। তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই জেলা থেকে বিজেপিকে উচ্ছেদের ডাক দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।

চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির গড়ে হানা দিচ্ছে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের পরেই জেলায় বিজেপির সংগঠনের কারিগর তথা তৎকালীন জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে দলে টেনে নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তারপর থেকেই জেলায় বিজেপির সংগঠনে ভাঙন অব্যাহত। ইতিমধ্যে জেলার কালচিনি ব্লক থেকেই বিজেপির প্রায় ৫০ জন নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন।

শুধু তাই নয়। গত তিনমাসে জেলার প্রায় ৬ হাজার বিজেপি নেতা, কর্মী, তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে নিয়েছেন। রবিবারও সেখানে ব্লকে ৫০০ বিজেপি সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। রবিবার কালচিনিতে বিজেপির মজবুত ঘাঁটি সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এবং জয়গাঁ থেকে মোট ৫০০ জন পদ্মফুল ছেড়ে, ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলার সভাপতি প্রঅন্যদিকে বিজেপির জেলা আহ্বায়ক ভূষণ মোদক বলেন, তৃণমূল প্রতিদিন বিজেপি ভাঙার নাম করে নিজেদের দলীয় কর্মীদের যোগদান করায়। তৃণমূল কী করছে সেটা তাঁদের দেখার বিষয় নয়।কাশ চিক বড়াইক জানান, তিনি নিজে একজন আদিবাসী। তিনি জানেন বিজেপি কীভাবে তাঁদের আদিবাসী সমাজকে ভুল পথে চালিত করেছে। এখন সবাই সেই সব বুজরুকি বুঝে গিয়েছেন। তাই বিজেপি এখন জেলা থেকে সাফ হয়ে যাচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #alipurduar, #tmc

আরো দেখুন