রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ধর্মীয় অসিহষ্ণুতাকে প্রকট করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে সরব বামেদের জোটসঙ্গী আব্বাস

October 17, 2021 | 2 min read

শারদীয়ার আবহে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বানচাল হয়েছে ওপার বাংলায়। কুমিল্লার নানুয়ারদিঘী এলাকার একটি পুজো মণ্ডপে প্রতিমার হাঁটুর কাছে রাখা ছিল মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরান শরিফ। এই খবর চাউর হতেই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। সরিয়ে দেওয়া হয় ধর্মগ্রন্থটি। তবে সামাজিক মাধ্যমের সৌজন্যে দ্রুত খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ। সাম্প্রদায়িক বিষোদগার চলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয় দুর্গা মণ্ডপের উপর আক্রমণ। ভেঙে দেওয়া হয় মা দুর্গার মূর্তি এবং পুজো প্যান্ডেলগুলি। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

এই ঘটনার পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার বিরুদ্ধে বহু নেটিজেনরাই পোস্ট করেছেন এবং বাংলাদেশের হিন্দুদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছেন। কিন্তু ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের নেতা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর গলায় এদিন শোনা গেল অন্য সুর। তিনি বরং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্যও করেছেন। সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং অনেকে তাঁর মন্তব্যগুলির কড়া সমালোচনা করেছেন। অনেকে আবার প্রশ্নও তুলে ধরেছেন যে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী একজন আদ্যপান্ত সাম্প্রদায়িক মানুষ এবং সিপিআইএম একুশের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর দলের সঙ্গে জোট তৈরি করেছিল কি করে?

তিনি বলেন, ‘ বাংলাদেশে কি হচ্ছে? কোরান শরিফ পবিত্র একটা বই যেটাকে একটা প্রতিমার পায়ের গোড়ায় রাখা হয়েছিল। যে যার ধর্মের উপাসনা করবে করুক সেখানে আমার বলার অধিকার নেই কারণ ইসলাম আমাকে সেই অধিকার দেয় না। ক্ষমতা নেই ভাবা ভুল। কিন্তু আজ যদি আমি কোনও ধর্মের ধর্মগ্রন্থকে একটা কুকুরের গলায় ঝুলিয়ে দিই তাহলে সেই ধর্মের লোকদের কি ভালো লাগবে? এতই যখন কোরান শরিফ ভাল লাগে তাহলে মেনে নিক সেটা। আগের বছর আবার কাবা শরিফের আদলে দুর্গা পুজোর প্যান্ডেল বানানো হয়েছে। কিন্তু এর বিরূদ্ধে যারাই বলতে গেছে তাদের ওপরেই জুলুম হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#durga Pujo, #Bangladesh, #Abbas Siddiqui, #Vandalism, #Kumilla

আরো দেখুন