দেশ বিভাগে ফিরে যান

করোনা প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ চালুর সুপারিশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, দোটানায় মোদী সরকার

October 18, 2021 | 2 min read

এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশে করোনা টিকাকরণ (Corona vaccine) চলছে। কিন্তু এখনও কোনও রাজ্যই নাগরিকদের দুটি ডোজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি। তার মধ্যেই নতুন প্রস্তাব দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO)। সংস্থার সাবজেক্ট অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অফ এক্সপার্ট (SAGE) রাষ্ট্রসংঘকে জানিয়েছে, ভারতের মতো দেশে যে সব নাগরিক বিভিন্ন রোগে ভুগছেন বা কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাদের অবশ্যই বুস্টার ডোজ নিতে হবে। কারণ, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছ’মাস পর থেকেই অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন প্রস্তাবে কার্যত দোটানায় পড়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আইসিএমআরের (ICMR) পক্ষে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, দেশের সব মানুষকে এখনও দুটি ডোজের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তার মধ্যেই বুস্টার ডোজ চালু করতে গেলে গোটা ব্যবস্থাটাই ধাক্কা খাবে। আবার কোভিড বিশেষজ্ঞদের অভিমত, যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে বা বিভিন্ন রোগে ভুগছেন, তাদের অ্যান্টিবডি ছ’মাস পরই কমতে শুরু করবে। তাই কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে বুস্টার ডোজ চালু করতেই হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি পরিবর্তন করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবজেক্ট অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অফ এক্সপার্টের তরফে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ হওয়ার ৬ মাস পর্যন্ত ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডি (Antibody) সক্রিয় থাকে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলেও ভাইরাস তেমন প্রাণঘাতী হতে পারে না। কিন্তু ছ’মাস পর থেকেই অ্যান্টিবডির ক্ষমতা ক্রমশ কমতে শুরু করে। এটাই ভ্যাকসিনের স্বাভাবিক নিয়ম। কোভিড টিকার ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তাই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার এক বছর পর যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই বুস্টার ডোজ নিতে হবে।

যদিও আইসিএমআর সূত্রে খবর, এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ভারত সরকার বুস্টার ডোজ নিয়ে কোনওরকম আলোচনাই শুরু করেনি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের তরফে গবেষক ডাঃ সমীরণ পণ্ডার কথায়, ”আগে দেশের প্রাপ্তবয়স্ক সমস্ত মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। তারপরই বুস্টার ডোজ নিয়ে ভাবা যেতে পারে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে প্রস্তাব পাঠিয়েছে, তাও যথেষ্ট বিজ্ঞানভিত্তিক। কারণ, কোমর্বিডিটি যাদের রয়েছে, তারা ইমিউনো কম্প্রোমাইসড।” দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার এক বছরের মধ্যে বুস্টার ডোজ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে।

চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গোটা দেশে গণটিকাকরণ শুরু হয়। প্রথম দফায় ৬০ ও তার বেশি বয়সিদের এবং তারপর ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সি নাগরিকদের মে মাসের মধ্যে দুটি ডোজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘটনা হল, এখনও পর্যন্ত সেই কোটা পূরণ করা যায়নি। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রস্তাব দিলেও তা ভারতে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid-19, #corona vaccine, #WHO, #Icmr

আরো দেখুন