জ্বালানি নিয়ে বিজেপির মিছিলকে কটাক্ষ কুণালের
পেট্রোপণ্য়ের উপর থেকে রাজ্যের শুল্ক কমানোর দাবিতে আজ পথে নামার কথা ছিল বঙ্গ বিজেপির (West Bengal BJP)। কিন্তু আজকের কর্মসূচি শুরুর আগেই যেন শেষ হয়ে গেল। মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য দপ্তর থেকে বেরোতেই কলকাতা পুলিশের কড়া বেষ্টনী। পুলিশের সঙ্গে অল্পবিস্তর ধ্বস্তাধ্বস্তিও হল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। আর এই নিয়েই এবার বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, ” ওনাদের সভা মুরলীধর সেন লেনের জন্যই ঠিক আছে। যা লোকবল, তাতে বড় রাস্তায় করলে হারিয়ে যেতেন।”
এদিকে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব পেট্রোপণ্য়ের উপর থেকে রাজ্যের শুল্ক কমানোর যে দাবি তুলছে, তা নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “কেন্দ্র রাজ্য সরকারের বকেয়া দিচ্ছে না। তার ওপর পেট্রোল, ডিজেলের দাম প্রচুর পরিমাণে বাড়িয়ে তারপর একটু কমিয়েছে। আর তারপর রাজ্যের উপর পাল্টা চাপ দিচ্ছে। এটা মাঠে ময়দানের রাজনীতি হচ্ছে। মূল দাম কমানো নিয়ে কথা বলুক কেন্দ্র।” একইসঙ্গে বঙ্গ বিজেপিকে তাঁর কটাক্ষ, “বিজেপি নির্বাচনে প্রত্যাখ্যাত। তাই এই নাটক হচ্ছে।”
আজ বিজেপির যে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল কলকাতায়, তা শুরুতেই আটকে দিয়েছে পুলিশ। আর তা নিয়ে বেজায় চটে রয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়ে ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন। আর তাই আজ পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানান কুণাল ঘোষ। বলেন, “এখানকার পুলিশকে শেখানোর আগে ত্রিপুরার পুলিশের থেকে নিয়ম-কানুন শিখুন।”
উল্লেখ্য, আজ পুলিশের বাধা পেয়ে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তথাকথিত বাংলার মেয়ে এখনও ঘুমোচ্ছেন। তথাকথিত মানব দরদী একেবারে সাধারণ লোকের কষ্টে নাকি তাঁর চোখের জল আর নাকের জল এক হয়ে যায়। তাঁর ঘুম ভাঙেনি। আমাদের নেতারা বলেছিলেন ২০০-৪০০ মিটার হাঁটতে দিন। আমরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে আসেনি।আমরা এখানে আইন শৃঙ্খলার অবনতি করতে আসিনি। অথচ অবস্থাটা দেখুন। চারদিক ঘিরে রেখেছে। শুধু গোটা কলকাতা পুলিশ নয়, রাজ্য পুলিশও নিয়ে চলে এসেছে। হাজার পুলিশ দিয়ে গোটা ২০০-৩০০ মিটার এলাকায় চক্রব্যূহ তৈরি করা হয়েছে। গাড়ির লাইন, লালবাজারে নিয়ে যাবে। লালবাজারে নিতে গেলে এই মুহূর্তে ২০০টা বাস লাগবে। আরও লোক আসবে। দিকে দিকে যত বাড়বে, বিজেপি তত বাড়বে। আমরা এখান থেকে আমরা দাবি করি মুখ্যমন্ত্রী নিদ্রা ভাঙুন। আপনি ভ্যাট কমান। কেন্দ্রের দেখানো পথে হাঁটুন। জনগণকে সুরাহা দেখান।”