সরকারের বিরুদ্ধে ধর্ণা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়, প্রয়োজনে নিজে কাজ করুন, দলের বিধায়ককে উপদেশ মমতার
টানা বৃষ্টিতে অক্টোবরের শুরুতে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতোই জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল হাওড়া। প্রতিবাদে হাঁটু জলের মাঝেই ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সেই ঘটনার জেরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরীকে ধমক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার হাওড়ার শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন জেলাশাসক, বিধায়ক-সহ অন্যান্যরা। সেখানে নতুন বিধায়কদের শুভেচ্ছা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ছিলেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। জলযন্ত্রণার প্রতিবাদে কেন পুরসভার সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা না করে বিক্ষোভ দেখালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গৌতমবাবুকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি গৌতম চৌধুরীকে প্রশ্ন করেন, “কেন রাস্তায় বসেছিলে?” এরপরই তিনি বলেন, “তৃণমূলের একটা সংস্কৃতি রয়েছে। একদম এসব কাজ করতে যাবে না। প্রয়োজনে নিজে জল সরানোর ব্যবস্থা করবে। হাওড়ায় জলের সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। ৭০ বছর কেউ কাজ করেনি। আমরা তিনটে দফায় কাজ করছি। ইতিমধ্যেই অনেক কাজ হয়েছে। শুধু চাই চাই চাই করলে চলবে না। তুমি কী দিতে পারি সেটা দেখো। তোমাকে জনগন অনেক দিয়েছে, এবার জনগনের কি চাই, কি সমস্যা সেটা দেখো। জনগনের জন্য কাজ করো।”
উল্লেখ্য, টানা বৃষ্টির জেরে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় ৫০ দিন হাওড়ার সাত নম্বর ওয়ার্ড প্রায় জলমগ্ন ছিল। বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এলাকার জমা জল কিছুটা কমে। তবে আবার সামান্য বৃষ্টি হলেই এলাকার অবস্থা যেই কী সেই। আবারও কোথাও হাঁটুজল তো কোথাও গোড়ালি ডোবা জল জমে যাচ্ছিল। তার ফলে স্থানীয়রা সমস্যায় পড়ছিলেন। প্রতিবাদে সরব উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। চেয়ার নিয়ে জমা জলে ধরনায় বসেছিলেন তিনি। যতক্ষণ না পর্যন্ত এলাকার জলমগ্ন দশার কোনও উন্নতি হবে, ততক্ষণ বসে থাকবেন বলেও জানিয়েছিলেন উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। হাওড়ার পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন। যার জেরে অস্বস্তি বেড়েছিল তৃণমূলের।