ত্রিপুরায় ভোটের নামে হয়েছে গণতন্ত্রের হত্যা! প্রমাণসহ প্রতিবাদ তৃণমূলের
ত্রিপুরা পুরভোটে (tripura civic polls) বিরাট জয় পেয়েছে বিজেপি। বিরোধীদের হেলায় উড়িয়ে বিশাল জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। সে রাজ্যের পুরভোটে ৩৩৪ আসনের মধ্যে ৩২৯টিতেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। অর্থাৎ ৯৯ শতাংশ আসনেই বাজিমাত পদ্ম-প্রার্থীদের। আগরতলা পুরসভাও দখল করেছে বিজেপি। আগরতলা এতকাল ছিল বামেদের দখলে। যদিও সেখানেই নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছে তৃণমূল। আগরতলার বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে ঘাসফুল শিবির। আমবাসার একটি ওয়ার্ডও জিতেছে তাঁরা। কিন্তু ভোটের আগে থেকে আজ পর্যন্ত, তৃণমূল সহ ত্রিপুরার বাকি বিরোধীদের অভিযোগ, ভোট নয়, আসলে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে ত্রিপুরায়। এবার সেই অভিযোগের স্বপক্ষে এর প্রিসাইডিং অফিসারের বক্তব্য, যা একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, তাকেই হাতিয়ার করল তৃণমূল।
ওই প্রতিবেদনে ভোটের দিন তাঁর বুথেও কীভাবে বিজেপি ভোট লুঠ করেছে, তার বিস্তারিত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন জনৈক ওই প্রিসাইডিং অফিসার। আর সেই প্রতিবেদনকেই এবার হাতিয়ার করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে ত্রিপুরা তৃণমূল। ট্যুইটারে তাঁরা লিখেছে, ”প্রিসাইডিং অফিসারের নিজের ও তাঁর আশেপাশের বুথগুলিতে রিগিং অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। গোটা ত্রিপুরা অসহায়তায় ভুগছে। ত্রিপুরায় বিজেপি গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করছে।”
ত্রিপুরা পুরভোটের ফল ঘোষণার পরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ”এবার আসল খেলা শুরু হবে ত্রিপুরায়।” অভিষেক এক টুইট বার্তায় লেখেন, ”পুর ভোটে সফল ভাবে লড়া এবং ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধীর ভূমিকায় উঠে আসা সত্যিই বড় ব্যাপার।” অর্থাৎ, দলের শীর্ষ নেতার কথাতেই স্পষ্ট, পুরভোটের পর নিজেদের প্রধান বিরোধী বলে দাবি করতে থাকা তৃণমূল এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেবে না ত্রিপুরায়।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও লিখেছিলেন, ”ত্রিপুরা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলা ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ কাজ করছে। দু মাসের সংগঠন তৃণমূলের। ওদের হামলা, মামলা, ১৪৪ ধারা, ছাপ্পা। তাতেও দুমাসেই আমরা +/- ২০% ভোট। সব তথ্য আসছে। অবাধ ভোট হলে বিজেপি থাকত না। আমরা উৎসাহিত। মানুষ সাড়া দিচ্ছেন। ধন্যবাদ। পরের কাজ শুরু। ২০২৩ আমাদের।”