তথ্য যাচাই বিভাগে ফিরে যান

বাংলাদেশের ছবি দেখিয়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছাড়ানো হচ্ছে ভারতে? জানুন সত্য

December 18, 2021 | 2 min read

বিজেপি শাসিত ভারতে, ধর্মীয় সম্প্রীতি আজ সবচেয়ে বড় প্রশ্নচিহ্নের সম্মুখীন হয়েছে। বিভাজনের রাজনীতি দেশজুড়ে ক্রমাগত বিষদগার করে চলেছে। আঘাত করছে ভারতের ঐতিহ্যকে। মুসলিমদের উপর আক্রমণের পরিমান প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কে কী খাবে, কে কী পরবে; সেই স্বাধীনতাতেও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ধর্মাচরণেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিগত তিনমাস যাবৎ গুরুগ্রামে, প্রকাশ্যে শুক্রবারের নামাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হচ্ছে। টাইমস্ অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সাল থেকে জনসমক্ষে নামাজের বিরুদ্ধে লাগাতার এইভাবে প্রতিবাদের ফলে নামাজ পড়ার স্থানের সংখ্যা ১০৮ থেকে কমে ৩৭ হয়েছে। চলতি বছর নভেম্বরে প্রকাশ্যে নামাজ পড়ার জায়গার সংখ্যা ফের ২০-তে কমে এসেছে। 

এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত কানাডিয়ান কলামিস্ট তারেক ফাতহ একটি নামাজের ছবি টুইট করেছেন। ছবিটি ভারতের বলে দাবি করে তিনি লিখেছেন, ভারতে রাস্তা আটকে ট্রাফিক জ্যাম করে নামাজ পড়া হয়। তিনি আরও লেখেন, ” এদের নির্দিষ্ট নামাজ পড়ার জায়গায় সরে গিয়ে নামাজ পড়ার কথা বললে, তা ধর্মীয় বিভাজন বলে দাগিয়ে দেওয়া হবে।”

সাপোর্ট অর্ণব গোস্বামী, ডিভাইন শালীগ্রাম, ইটার্নাল হিন্দু ইত্যাদি ফেসবুক পেজগুলি থেকেও এই একই ছবি দেখিয়ে ক্রমাগত ধর্মীয় বিভাজনের প্রচার চালানো হচ্ছে।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে ছবিটি আদতে বাংলাদেশের, কারণ ছবিটিতে একটি বাসের ছবি দৃশ্যমান; যাতে বিআরটিসি লেখা রয়েছে। বাসটি ডবল-ড্রেকার বাস, যা ভারতে চলে না। বিআরটিসির পুরো কথা হল বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন। এই ধরণের বাসের একাধিক ছবি দ্যি ডেইল স্টার, দ্যি ফাইনান্সয়াল এক্সপ্রেস, বাংলাদেশ লাইভ ইত্যাদি আউটলেটে এর আগেও দেখা গিয়েছে। সে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, তা আসলে ক্রপ করা ছবি। জানা গিয়েছে, আসল ছবিটি ২০২০ সালে শেখ মহম্মদ মেহেদী হাসানের তোলা। ছবিটি আদতে, বিশ্ব লজ্তেমার জুম্মা নামাজের ছবি যা হজের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত। সেই ছবির একটি অংশ কেটে, ভারতের রাস্তা আটকে নামাজ পড়ার ছবি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তারেক সেই ছবিটিই ব্যবহার করেছেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও তারেকের বিরুদ্ধে এমন ভুয়ো ছবি পোস্ট করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India, #Bangladesh, #Fact Check

আরো দেখুন