দেশ বিভাগে ফিরে যান

বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পঞ্জাবে লাগাতার আন্দোলনে কৃষকরা

December 24, 2021 | < 1 min read

 দিল্লির সীমানাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন কৃষকরা। দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্ঘু, তিক্রি সীমানা, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর সীমানায় আগের মতোই শুরু হয়েছে যানবাহন চলাচল। কিন্তু দিল্লির সীমানাগুলিতে আন্দোলন প্রত্যাহারের পর এবার কি ফের রাজ্যে রাজ্যে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের পথেই পা বাড়াচ্ছেন কৃষকরা?

বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যেভাবে পাঞ্জাবে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা, তাতে এই জল্পনাকেই উস্কে দেওয়া হয়েছে। ঋণ সম্পূর্ণ মকুব, বছরভর আন্দোলনে শহিদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, আন্দোলনকারীদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের মতো একাধিক ইস্যুতে গত সোমবার থেকে পাঞ্জাবে আন্দোলন শুরু করেছেন কৃষকরা। লাগাতার চারদিন ধরে চলা এই আন্দোলনের তেজ তো তাতে কমেনি, উল্টে তা ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য রাজ্যেও। এই ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে দূরপাল্লার ট্রেনের সঙ্গে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলেও। বাতিল করতে হয়েছে অসংখ্য ট্রেন। নির্দিষ্ট গন্তব্যের আগেই থামিয়ে দিতে হয়েছে অনেকগুলিকে। বহুক্ষেত্রেই রুট পরিবর্তনও করতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের দাবিদাওয়া আদায়ে বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছেন কৃষকরা। আগামী বছর গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড সহ পাঁচ রাজ্যে। কৃষক সংগঠন সূত্রের খবর, পাঞ্জাবের পর ক্রমশ অন্যান্য ভোট রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে আন্দোলন। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছে সরকার পক্ষ। 

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি জানিয়েছেন, ‘কৃষকদের প্রায় সব দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে। দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মকুবেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ১০-১২ দিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।’ উল্লেখ্য, কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করেছেন মাত্র। আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়নি। আগামী ১৫ জানুয়ারি আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা চূড়ান্ত করতে দিল্লিতে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#punjab, #Farmers Protest

আরো দেখুন