সঙ্কটজনক শিশুদের চিকিৎসায় রাজ্যের সবচেয়ে বড় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট হচ্ছে ফুলবাগানে

সঙ্কটজনক শিশু, কিশোর-কিশোরীদের চিকিৎসায় (২৯ দিন থেকে ১২ বছর, কোথাও কোথাও ১৮ বছর পর্যন্ত) রাজ্যের সবচেয়ে বড় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট হতে চলেছে ফুলবাগানের বি সি রায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক সায়েন্সেসে। প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস অর্থাৎ বেলেঘাটার পোলিও হাসপাতালেই হচ্ছে ৮০ শয্যার পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা ‘পিকু’। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই এটি চালু হওয়ার কথা। প্রসঙ্গত, রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে এখনও এত সংখ্যক ‘পিকু’ বেড নেই।
শুক্রবার এ নিয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যদপ্তর এবং বি সি রায় শিশু হাসপাতালের পদস্থ কর্তারা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, প্রয়োজনে ওই ‘পিকু’র একটি অংশ আমরা কোভিড আক্রান্ত আশঙ্কাজনক শিশু-কিশোরদের চিকিৎসায় ব্যবহার করতে পারব।
বি সি রায় সূত্রের খবর, ৮০ শয্যার প্রস্তাবিত ইউনিটে চারটি ব্লক থাকবে। কোভিড বা অন্য রোগে আক্রান্ত সঙ্কটজনক শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ভর্তি করতে যাবে। যখন যেমন চাহিদা থাকবে, সেইমতো বেড বরাদ্দ করবে হাসপাতাল।
কার্যত এই নতুন ‘পিকু’ বেড চালু হলে বি সি রায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে থাকবে প্রায় দেড়শো ‘পিকু’ শয্যা। ইতিমধ্যেই ফুলবাগানের মূল হাসপাতালে রয়েছে এমন ২৫টি বেড। রয়েছে আরও ২০ বেডের ‘কোভিড পিকু’। সেখানে আরও ২০ শয্যা বাড়ছে। আর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ‘পিকু’ বেড যোগ করলে তা বেড়ে হবে ১৪৫টি। শিশু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে হাসপাতালে ৫০টির বেশি ‘পিকু’ বেড থাকে, তাকে ‘সঙ্কটজনক শিশু-কিশোরদের হাসপাতাল’ বলাই চলে।
এত বড় ‘পিকু’ তো হবে, কিন্তু লোকবলের কী হবে? চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত নার্স, টেকনোলজিস্ট, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী— তার কী হবে? এই ধরনের ইউনিটে রোগী ও কর্মীর অনুপাত হয় ১:১। এখানে প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। মনিটর থেকে অনেক সময় পলক সরানো যায় না। সেই মানসিকতা, অধ্যাবসায় ও প্রশিক্ষিত মানুষজন আছে তো? স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়বাবুর দাবি, সব হবে। শুধু চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর অভাব রয়েছে। বিষয়টি দেখছি।