জাঁকিয়ে পড়েছে ঠান্ডা, সপ্তাহান্তে রাজ্যে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস
সপ্তাহের শুরুতেই ফের হাড় কাঁপিয়ে ফিরে এল ঠান্ডা। ছন্দে ফিরেছে উত্তুরে হাওয়া। গোটা রাজ্যেই এক ঝটকায় অনেকটা কমেছে তাপমাত্রা। কলকাতায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। একইভাবে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩ দাগ কমে হয়েছে ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একারণে সারাদিনই শীতের অনুভূতি টের পেয়েছে কলকাতাবাসী। তবে শীতের এই আমেজ কতদিন স্থায়ী থাকবে, তা নিয়ে ধন্দে আবহাওয়াবিদরাও। কারণ চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ফের আরেকটি ঝঞ্ঝা আসতে চলেছে পশ্চিম হিমালয়ে। যার হাত ধরে এবারও রাজ্যের আকাশের মেঘের ঘনঘটা দেখা যেতে পারে। এমনকী দক্ষিণবঙ্গে সেই সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না আলিপুর আবহাওয়া অফিস। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি হতে পারে সেই সময়ে।
উত্তুরে হাওয়া সক্রিয় হতে না হতেই একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হানা দিচ্ছে পশ্চিম হিমালয়ে। ইতিমধ্যে একটি ঝঞ্ঝা এসে গিয়েছে। আজ, মঙ্গলবার আরও একটি আসছে। তবে এই দু’টি ঝঞ্ঝা দুর্বল প্রকৃতির হওয়ায় উত্তর, মধ্য ও পূর্ব ভারতে এর তেমন প্রভাব পড়বে না। কিন্তু ২১ জানুয়ারি যে ঝঞ্ঝাটি আসবে, সেটি শক্তিশালী বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। ওই ঝঞ্ঝার প্রভাবে রাজস্থানের উপর ফের ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, ওই ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা পূর্ব ভারতের দিকে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার প্রভাবে রাজ্যে ফের বৃষ্টি হতে পারে। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে আগামী রবিবার নাগাদ বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। এই বৃষ্টির ক’দিন স্থায়ী হবে, তার কোনও পূর্বাভাস এখনও দেননি আবহাওয়াবিদরা। তবে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর আগামী শনি থেকে সোমবার পর্যন্ত পূর্ব ভারতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। বুধ-বৃহস্পতিবার থেকে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। তারপর উত্তরবঙ্গের অন্যত্র বৃষ্টি শুরু হবে।
উত্তুরে হাওয়ার দাপটে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে চলে এসেছে। শ্রীনিকেতনে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমালয় সংলগ্ন সমতলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে ছিল। দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের অন্যত্র সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিন শীতের মাত্রার বিশেষ পরিবর্তন হবে না।