রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সরকারি উদ্যোগে কেনা ধানের উপর বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে খাদ্যদপ্তর

February 18, 2022 | 2 min read

সরকারি উদ্যোগে কেনা ধানের উপর বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে খাদ্যদপ্তর। বিভিন্ন রাইস মিলে গিয়ে। সেখানে খাদ্যদপ্তরের বিশেষ টিম পাঠানো হচ্ছে। যেসব রাইস মিল অনেক পরিমাণে ধান নিয়েছে বেশি নজরদারি অভিযান চলছে সেখানে। হিসেব অনুযায়ী ধান মজুত আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখার জন্য এটা করা হচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে এবার বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে দপ্তর। রাইস মিলে নজরদারি এর অন্যতম।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় ৩০ লক্ষ টন ধান সরকারি উদ্যোগে চাষিদের কাছ থেকে কেনা হয়েছে। খাদ্যদপ্তর সূত্রে পাওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে ২৬ লক্ষ টন ধান ইতিমধ্যে রাইস মিলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে চাল তৈরির জন্য। ধান ভানিয়ে চাল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন জেলায় খাদ্যদপ্তরের কাছে নথিভুক্ত রাইস মিল আছে। স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্র ও অস্থায়ী শিবির থেকে ধান সরাসরি সংশ্লিষ্ট রাইস মিলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোন রাইস মিলে কী পরিমাণ ধান পাঠানো হয়েছে? তার থেকে কত পরিমাণ চাল দেওয়া হচ্ছে? তার হালফিল তালিকা খাদ্যদপ্তরের কাছে থাকে। ওই তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, বেশকিছু রাইস মিল ইতিমধ্যে ৪০ হাজার টন থেকে ১০ হাজার টন চাল পেয়েছে। অনেকগুলি মিল প্রধান ধান উৎপাদক জেলায় অবস্থিত নয়।

যে-পরিমাণ ধান ওইসব রাইস মিলে গিয়েছে তা ঠিকঠাক সেখান আছে কি না, খাদ্যদপ্তরের বিশেষ নজরদারি টিম তা সরেজমিনে দেখছে। রাইস মিল কী পরিমাণ ধান নিয়েছে? তার থেকে কতটা পরিমাণ চাল সরকারকে দেওয়া হয়েছে? সেই হিসেব দেখে মজুতের পরিমাণ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

এই বিশেষ নজরদারির কারণ কী? খাদ্যদপ্তর সূত্রের খবর, এক শ্রেণির রাইস মিলের বেআইনি কারবার আটকানো। সরকারি উদ্যোগে কেনা ধানের একাংশ রাইস মিল থেকে খোলাবাজারে বেচে দেওয়ার অভিযোগ দপ্তরের কাছে আছে। ধান বিক্রি করে সেই জায়গায় বাইরে থেকে কেনা নিম্নমানের চাল সরকারকে দিয়ে দেওয়া হয়। এজন্য ভিন রাজ্য থেকে চাল আনা হয়। এতে রাইস মিলগুলির আর্থিক লাভ হয়। এর ফলে রাজ্যের রেশন গ্রাহকদের কাছে নিম্নমানের চাল পৌঁছনোর আশঙ্কা থাকে। সেটা আটকানোর জন্য কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে খাদ্যদপ্তর। দপ্তরের নজরদারি টিম রাইস মিলে গিয়ে নথিপত্র দেখার পাশাপাশি ধানের মজুত ভাণ্ডার পরীক্ষা করছে। ধানের মজুত ভাণ্ডারের ছবি তোলা হচ্ছে। ছবি-সহ রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে খাদ্যশ্রী ভবনে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই দপ্তর ব্যবস্থা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Food department, #paddy

আরো দেখুন