ফের বঞ্চনার শিকার রাজ্য, ‘বাংলার মাতৃ প্রকল্পে’ টাকা আটকে দিল মোদী সরকার
ফের কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার রাজ্য। শুধুমাত্র প্রকল্পের নাম বদলের জেরে ‘বাংলার মাতৃ প্রকল্পে’ টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। গত দু’ বছরে প্রায় ৮-৯ লক্ষ মা ৯০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় স্বাস্থ্য বাজেট পেশের সময় এই অভিযোগ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
প্রথমবার কোনও মহিলা সন্তানসম্ভবা হলেই তাঁদের তিন ধাপে ‘বাংলা মাতৃপ্রকল্পে’ মোট ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। অন্তঃসত্ত্বার আধার কার্ড-সহ নিজস্ব ব্যাংক আকাউন্ট থাকলেই তিন কিস্তিতে সব মিলিয়ে মোট ৫ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। নাম নথিভুক্ত করার কয়েক সপ্তাহ পরই প্রথম কিস্তিতে ১ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
শিশু জন্মানোর ১৪ সপ্তাহ পর নবজাতকের দ্বিতীয় কিস্তির ২ হাজার টাকা নতুন মায়েদের দেওয়া হয়। শিশু জন্মানোর ৬ মাস পর শেষ কিস্তিতে ২ হাজার টাকা পান নতুন মায়েরা। শুধুমাত্র তাঁদের আধার কার্ড ও মায়ের নিজের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। যাতে নতুন মায়েদের খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক সংকট তৈরি না হয়, সে কারণেই এই প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, গুজরাটের অনুকরণে কেন্দ্র এই প্রকল্পটির নাম দেয় ‘প্রধানমন্ত্রী মাত্রুবন্দনা’। তবে বাংলায় এই প্রকল্পটির নাম বদল করা হয়। ‘বাংলা মাতৃপ্রকল্প’ নাম দেওয়া হয়। শুধুমাত্র তার জেরে ওই প্রকল্পের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অর্থমন্ত্রীর দাবি, “এই প্রকল্পের নাম বদলে সমস্যা কোথায়? আমরা তো মুখ্যমন্ত্রী মাতৃবন্দনা বলিনি। তাহলে কেন বাংলার মায়েদের বঞ্চিত করা হল? এটা আসলে গভীরতম ষড়যন্ত্র। কোনও শিশুর জন্ম থেকে যদি ফুসফুস কিংবা মস্তিষ্কের বিকাশ না হয় তবে মেধা কমে যাবে। তাই বাংলার মেধাকে হত্যা করারই চক্রান্ত করছে কেন্দ্র।”