দেশ বিভাগে ফিরে যান

হাজার টাকা ছুঁইছুঁই রান্নার গ্যাস, ড্যামেজ কন্ট্রোলে ২ কেজির সিলিন্ডার আনছে মোদী সরকার

April 30, 2022 | 2 min read

ছবি সৌঃ ইকোনোমিক টাইমস

 রান্নার গ্যাসের দাম বিগত কয়েক মাস ধরেই হাজার টাকা ছুঁইছুঁই। দু’হাজার টাকা পেরিয়ে গিয়েছে বাণিজ্যিক সিলিন্ডার। মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় স্বাভাবিক নিয়মেই নিম্নমুখী বিক্রির হার। এই পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে মরিয়া নরেন্দ্র মোদী সরকার। বাজার ধরে রাখতে এবার দু’কেজির সিলিন্ডারকে গুরুত্ব দিতে চাইছে তারা। ইন্ডিয়ান অয়েলের হাত ধরে বাজারে আসছে সেই ক্ষুদ্র সংস্করণ, নাম ‘মুন্না’। কয়েকটি ডিলারশিপ এজেন্সির কাছে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে এমন এলপিজি সিলিন্ডার। খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে অধিকাংশ ডিলারের কাছে। চলছে খোলা বাজারে বিক্রিরও তোড়জোড়। কলকাতায় আপাতত ২৮৩ টাকায় মিলবে ‘মুন্না’।

১৪.২ কেজির গৃহস্থের সিলিন্ডারের পাশাপাশি বাজার ধরতে ইতিমধ্যেই বিকল্প রাস্তা নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। বিক্রি করা হচ্ছে পাঁচ কেজি সিলিন্ডার। এতে পকেটেও চাপ পড়ে কম। যদিও তেল সংস্থার কর্তারা বলছেন, খোলা বাজারে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দামের অনুপাতেই পাঁচ কেজি গ্যাসের দাম চোকাতে হয় গ্রাহককে। তবে স্বল্প পরিমাণ গ্যাসে যাঁদের কাজ চলে যায়, তাঁদের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় এই সিলিন্ডার। এবার ‘মুন্না’ বাজারে এলে সেটিও ভালো বিক্রি হবে বলে তাঁরা আশাবাদী। কেরোসিন স্টোভ ব্যবহারকারী কিংবা সামান্য জ্বালানিতেই কাজ চালাতে পারেন এমন পরিবারে এই সিলিন্ডার বিশেষ কাজে আসবে। বাণিজ্যিক কাজেও তা ব্যবহার করা যাবে। তবে ‘মুন্না’য় ভর্তুকি পাবেন না গ্রাহক।

কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যে এই সিলিন্ডার বিক্রি শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা। কিন্তু কলকাতা তথা বাংলায় তা আসেনি। এবার ইন্ডিয়ান অয়েলের হাত ধরে চালু হচ্ছে সেই পরিষেবা। এলপিজি বিভাগের চিফ জেনারেল ম্যানেজার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা মুন্নার বিপণনের উপর গুরুত্ব দিচ্ছি। এই ধরনের সিলিন্ডার ‘বটলিং’ বা গ্যাস ভরার প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে হলদিয়ার কারখানা থেকে। শীঘ্রই দুর্গাপুর এবং বজবজ কারখানা থেকেও সেই কাজ শুরু করব। তার জন্য প্রস্তুতি চলছে।’ ইন্ডেন ডিস্ট্রিবিউটর্স অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রেসিডেন্ট বিজন বিশ্বাস বলেন, এই সিলিন্ডারগুলির জন্য ক্রেতাকে ‘সিকিউরিটি ডিপোজিট’ বাবদ কোনও টাকা জমা করতে হবে না। প্রথমবার ৬০০ টাকা ও ১৮ শতাংশ জিএসটি দিয়ে গোটা সিলিন্ডারটি কেনা যাবে। এরপর গ্যাস ফুরিয়ে গেলে ডিলারের কাছে রিফিল করাতে পারবেন ক্রেতা। ডিলারদের থেকে পাঁচ কেজি সিলিন্ডার যেভাবে কেনা যায়, এক্ষেত্রেও নিয়ম একই। তবে ক্রেতা চাইলে পাঁচ কেজির ক্ষেত্রে ‘ডোমেস্টিক’ গ্যাস সংযোগ নিতে পারেন। অর্থাৎ সিকিউরিটি বাবদ টাকা জমা করে যেভাবে ১৪.২ কেজি সিলিন্ডার কেনা যায়, সেভাবেই এই সংস্করণও কেনার সুযোগ আছে। কিন্তু, দু’কিলোর ক্ষেত্রে তা থাকছে না। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#gas cylinder, #Gas

আরো দেখুন