কেমন কাজ করছেন বাংলার বিজেপি মহিলা নেত্রীরা? জেনে নিন হাল হাকিকত
মাধ্যমিকের পড়ুয়াদের পড়ানো হয়, জীবনের চলার পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। বঙ্গ বিজেপির মহিলা নেত্রীদের ক্ষেত্রেও নাকি এ কথাটা খাটে, এরকম রসিকতা এদিকে ওদিকে চলছেই। ধরতে গেলে, অগ্নিমিত্রা থেকে তনুজা, লকেট থেকে রূপা, কোথাও যেন নাকি একটা বক্সিং ম্যাচের পরিবেশ। বাইরে থেকে দেখলে, সুস্থ সহাবস্থান আদৌ দেখা যায় না, বলছেন দলীয় কর্মীরাই। মহিলা নেত্রীরা ঠিক যেন তার আগের জনকে কৌশলে প্যাঁচ মেরে ফেলে দিয়ে, সিঁড়ি উঠে গেছেন, এরকমই নাকি অবস্থা। করা এই নেত্রীরা, যারা বঙ্গ বিজেপির মহিলা ব্রিগেডকে চালাচ্ছেন?
লকেট চ্যাটার্জী

এই মুহূর্তে বঙ্গবিজেপির সব থেকে আলোচিত নাম লকেট। রাজ্যের বিক্ষুব্ধ নেতাদের জন্য তিনিই নাকি দিল্লির দূত, এমনই শোনা যাচ্ছে। সুকান্ত-শুভেন্দুর ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন হুগলীর সংসদ, মনে করছেন অনেকেই। আবার কেউ বলছেন, উনি নাকি তৃণমূলের দিকে এক পা বাড়িয়ে।
দেবশ্রী চৌধুরী

রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র এর সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রাক্তন নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হলেও রাজ্য– রাজনীতিতে পরিচিত মুখ ছিলেন না দেবশ্রী। দু’বছর মন্ত্রী থাকলেও বাংলার রাজনীতি বা জাতীয় রাজনীতিতে তেমন দাগ কাটতে পারেননি। একুশের নির্বাচনেও তাঁকে নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছিল। তাই তাঁর নামে নাকি নালিশ ঠুকেছিল রাজ্য নেতারা। তারপরই দেখা গেল উত্থান যেভাবে হয়েছিল পতনও একই গতিতে হল।
রূপা গাঙ্গুলী

সাংসদ জীবন থেকে রিটায়ার করা মানে কি রাজনীতি থেকেই অবসর? রাজ্যসভার এই সাংসদ একদা ছিলেন বুদ্ধদেবের প্রিয় পাত্রী। তারপর বিজেপিতে। দলে অনেকেই নাকি তাঁর নাটুকেপনা সহ্য করতে পারে না। সংসদেও নাকি একই কারণে তাকে এড়িয়ে যেতেন অনেকেই। অবসরের পর খবরে নেই বেশ কিছুদিন। রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নাকি ইতি, শুরু হয়েছে জল্পনা।
অগ্নিমিত্রা পল

এই মুহূর্তে বাংলা বিজেপির মহিলাদের মধ্যে অন্যতম আলোচিত নাম হল অগ্নিমিত্রা। ফ্যাশন দুনিয়ার জগৎ থেকে তিনি এখন রাজনীতির ময়দানে। ২০২১ অবধি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ছিলেন তিনি। আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রাকে ফের একবার লোকসভা উপ নির্বাচনেও তুরুপের তাশ করতে চেয়েছিল বিজেপি। রেকর্ড ভোটে হেরেছেন তিনি। তবুও দলীয় কর্মসূচিতে, খবরের কাগজের পাতায় বা টিভির পর্দায় তিনি জাজ্জল্যমান।
শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী

২০২১শের নির্বাচনের পর ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছিল মালদার রাজনীতি। ভোট মিটে যাওয়া প্রায় দু’মাস হয়ে গেলেওদেখা মেলেনি ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়কের। আর তাঁকে ঘিরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি সহ বিভিন্ন ধরনের হাস্যকৌতুক আকারে লেখা ছবি পোস্ট করে ভাইরাল করেছিল। তবে, ২০২২শে হাঁসখালিকাণ্ডে ৫ সদস্যের যে তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব, সেই কমিটিতে রাজ্য থেকে ছিলেন বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
তনুজা চক্রবর্তী

বর্তমানে বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী। দল পাশে আছে, মহিলা কর্মীদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতেই এবার বিশেষ মহিলা বাহিনী নামিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই নতুন দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তনুজা, বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি সাংগঠনিক জেলাতেই এই দল থাকছে। এক একটি জেলায় দলে থাকছেন ২৫ জন করে। বিশেষ এই বাহিনীতে চিকিৎসক ও আইনজীবীরা থাকছেন। নিঃশব্দে কাজ হচ্ছে, না কি হচ্ছে না কিছুই, জানে না সংবাদ মাধ্যম।
বৈশালী ডালমিয়া

সৌরভ এপিসোড শেষ। তৃণমূল থেকে বহিস্কৃত। বালীতে পুরোনো সিটে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে হেরে ভূত। রাজ্য বিজেপিতে একদমই গুরুত্ব পাচ্ছেনা বৈশালী, এরকমই খবর। তাহলে কি জগমোহন ডালমিয়ার একমাত্র কন্যার একূল-ওকূল, দুটোই গেলো? প্রশ্ন করছেন অনেকেই।