ভারতীয় লেখিকার বুকার জয়, ইতিহাস তৈরি করলেন গীতাঞ্জলি
বিশ্ব সাহিত্যের দরবারে স্বীকৃতি পেল ভারতীয় সাহিত্য। এই প্রথম কোনও ভারতীয় ভাষায় লেখা উপন্যাস বুকারের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুরস্কৃত হল। যা কথা সাহিত্যের অন্যতম সেরা পুরস্কার। লেখিকা গীতাঞ্জলি শ্রীর হিন্দি উপন্যাস ‘টম্ব অফ স্যান্ড’ প্রথম কোন ভারতীয় ভাষার বই যা, এই নজির স্থাপন করল।
বুকার পুরস্কারে ভূষিত হলেন দিল্লিনিবাসী লেখক গীতাঞ্জলি শ্রী। তাঁকে এবং তাঁর বইয়ের ইংরেজি অনুবাদক ডেইজি রকওয়েল ‘টম্ব অফ স্যান্ড’ উন্যাসের জন্য যৌথভাবে বুকারে পুরস্কার লাভ করেন। প্রথমে ‘রেত সমাধি’ উপন্যাসটি লিখেছিলেন গীতাঞ্জলি। দেশভাগকে উপজীব্য করেই হিন্দি উপন্যাসটি লেখা হয়েছে। সেখানে উত্তর ভারতের অশতিপর জনৈক এক বৃদ্ধার জীবনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এরপরেই ‘রেত সমাধি’-কে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন ডেইজি রকওয়েল৷ দুই সাহিত্যিক ৫০ হাজার পাউন্ড অর্থ পুরস্কার স্বরূপ পাবেন। বুকার প্রাইজ কমিটি তরফে টুইট করে গীতাঞ্জলি শ্রী এবং ডেইজি রকওয়েলকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে৷
২৬মে বৃহস্পতিবার লন্ডনে এক লেখিকা জানান, তিনি যে বুকারের পাবেন একথা স্বপ্নেও ভেবে দেখিনি, তিনি জানান তিনি সম্মানিত, বিস্মিত এবং একই সঙ্গে আনন্দিত। তাঁর কথায় বুকার পুরস্কার অবশ্যই তাঁর বইকে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে।
৬৪ বছর বয়সী লেখিকা বলেন, তাঁর এবং তাঁর বইয়ের নেপথ্যে রয়েছে সাহিত্যের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি-ঐতিহ্য। এই মর্মস্পর্শী উপন্যাসটিতে দেশভাগের যন্ত্রনা এসেছে। লেখিকা এক দেশপীড়িত মহিলার মাধ্যমে উপন্যাস বুনেছেন। দেশভাগের যন্ত্রনা, ছেড়ে আসা দেশ ভ্রমণের ইচ্ছে ইত্যাদি বুকারের বিচারকদের মুগ্ধ করেছে।
লেখক জীবনে গীতাঞ্জলী তিনটি উপন্যাস এবং বেশ কয়েকটি গল্প সংকলন লিখেছেন। মইনপুরীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, সার্বিয়ান এবং কোরিয়ান ইত্যাদি ভাষায় অনুবাদও করেছেন। ‘টম্ব অফ স্যান্ড’ বইটি ২০২১ সালের আগস্টে টিল্টেড এক্সিস প্রেস প্রকাশ করে। ১৩৫ টি বইয়ের মধ্যে সেই বইই বুকার বিচারকদের বিচার সেরা হয়ে, এবার বুকার জিতে নিল।