দেশ বিভাগে ফিরে যান

এবার প্যাকেটজাত পণ্যেও বসতে চলেছে জিএসটি, বাড়বে সাধারণ মানুষের খরচের বোঝা

June 29, 2022 | 2 min read

একাধিক প্যাকেটজাত পণ্যে বসতে চলেছে অতিরিক্ত পণ্য ও পরিষেবা কর। মাছ, মাংস, দই, পনির, চাল, ডাল, আটা, গুড়, মধু, মুড়ি ইত্যাদি জাতীয় প্যাকেটবন্দি পণ্যের উপর বসানো হল ৫ শতাংশ জিএসটি। চেকবইয়ের জন্য ব্যাঙ্কগুলি যে ফি নেয়, তাতেও ১৮% করের বোঝা চাপছে। এলইডি আলো, ভোজ্য তেল, আঁকার এবং ছাপার কালি, পণ্য তৈরির চামড়া, সোলার ওয়াটার হিটারের মতো পণ্যের ক্ষেত্রেও কর কাঠামো সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে আগামী দিনে ওই জিনিসগুলোর উপরেও জিএসটির বাড়তি বোঝা চাপতে চলেছে।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব। এই মর্মে কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রীকে একাধিক চিঠিও দিয়েছেন তিনি। সুপ্রিমকোর্টের এক রায়ের প্রসঙ্গ টেনে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। আইনত জিএসটি পরিষদের সিদ্ধান্ত মানতে রাজ্যগুলি বাধ্য নয়। কেন্দ্র এবং রাজ্য, উভয় পক্ষই আইন তৈরি করতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যগুলো পরিষদের সিদ্ধান্ত মেনে চলার চেষ্টা করে। রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি কেন্দ্রেকেই নিশ্চিত করতে হবে।

অভিন্ন পণ্য পরিষেবা কর প্রচলনের সময় মোদী সরকার জানিয়েছিল কর আদায়ের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির ঘাটতি পূরণে আগামী পাঁচ বছর ক্ষতিপূরণ দেবে কেন্দ্র। চলতি জুনেই সময়সীমা সমাপ্ত হচ্ছে। মোদী সরকারের মতে, মেয়াদ বাড়ানো অসম্ভব। আদপে আর্থিক ক্ষমতাই কেন্দ্রের। অন্যদিকে বিরোধী রাজ্যগুলির দাবি, তাদের জিএসটি আদায়ের ক্ষেত্রে এখনও ঘাটতি থাকছে। তাই তারা ক্ষতিপূরণের মেয়াদ বাড়ানো দাবি জানাচ্ছে। বসছে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক।

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে জিএসটি ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবার ২৮ জুন থেকে চণ্ডীগড়ে জিএসটি কাউন্সিলের দুদিন ব্যাপী বৈঠক বসছে। রাজ্যগুলিকে জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। ছত্তিশগঢ়ের মতো অ বিজেপি শাসিত রাজ্যের দাবি, রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে জিএসটির ভাগ বাড়িয়ে ৭০-৮০ শতাংশ করুক মোদী সরকার। প্রসঙ্গত, এখন রাজ্যগুলো ৫০ শতাংশ জিএসটির ভাগ পায়।

ঘোড়দৌড়, জুয়া খেলা অর্থাৎ ক্যাসিনো এবং অনলাইনে গেম খেলা ইত্যাদির উপরে ২৮% কর বসানোর প্রস্তাব উঠতে পারে। এতদিন ছাড় দেওয়া হলেও, এবার হোটেলে দৈনিক ১০০০ টাকার কম ভাড়ার ঘর, মানচিত্র ও চার্টকেও ১২ শতাংশ করের আওতায় আনা হয়েছে। প্যাকেট-লেবেল ছাড়া যে সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে, তাতেও বহাল থাকছে ছাড়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Nirmala Sitharaman, #Amit Mitra, #GST, #products, #GST Council, #Goods, #packets

আরো দেখুন