ভারতের বাদ্যযন্ত্র বন্দিত হচ্ছে বিশ্বে, কলকাতা হয়ে উঠছে বাদ্যযন্ত্র উৎপাদনের প্রাণকেন্দ্র
ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট উঠে এল এক চমকপ্রদ তথ্য। ফুলে ফেঁপে উঠছে ভারতের বাদ্যযন্ত্র উৎপাদন শিল্প। ভারতে স্থানীয়ভাবে তৈরি হওয়া গিটার, ড্রাম এবং বাঁশির চাহিদা বিশ্ব মানচিত্রে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাদ্যযন্ত্রের রপ্তানির নিরিখে দেশে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে কাঞ্চিপুরম, চেন্নাই এবং কলকাতা। চলতি অর্থ বছরের প্রথমার্ধে ভারত প্রায় ২.২ কোটি ডলার মূল্যের বাদ্যযন্ত্র রপ্তানি করেছে। বিগত বছর যার পরিমাণ ছিল ৩.৮৫ টাকা ডলার। স্বভাবতই এবারের পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে ব্যবসা কতটা ভাল হয়েছে।
কাঞ্চিপুরম এবং মুম্বাই থেকে গিটার, বীণা এবং বেহালার মতো স্ট্রিং বাদ্যযন্ত্রগুলি (Indian musical instruments), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাশাহী এবং জার্মানিতে রপ্তানি করা হচ্ছে। কাঞ্চিপুরম এবং নয়াদিল্লিতে প্রস্তুত কীবোর্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷ গত দুই বছরে সারা বিশ্বে বাদ্যযন্ত্রের চাহিদা বেড়েছে। বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়ছিল, সে সময় গান শিখতে আরম্ভ করেছিলেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। লকডাউনের কারণে বহু মানুষ বাড়ির ভিতরে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন, ফলে গানকে তারা আপন করে নিয়েছিলেন। ভারত থেকে বাদ্যযন্ত্রের রপ্তানি সাড়ে তিন গুণ বেড়েছে। বৈদ্যুতিক বাদ্যযন্ত্রের রপ্তানিও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারতীয় বাদ্যযন্ত্র কিনছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, চীন এবং ইংল্যান্ডের মতো দেশ। এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাসে ভারত থেকে আমেরিকায় প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ডলারের বাদ্যযন্ত্র রপ্তানি করা হয়েছে। কানপুর ভারতের হারমোনিয়াম উৎপাদনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মিরাট বাদ্যযন্ত্র তৈরি এবং একত্রিত করার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, আমরোহা ঢোলের জন্য খ্যাত, অন্যদিকে চেন্নাই ড্রামের জন্য বিখ্যাত।