দেশ বিভাগে ফিরে যান

গুজরাতে ভোট প্রচারে গেরুয়া শিবিরের ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের

December 3, 2022 | < 1 min read

দিল্লিতে নিযুক্ত অন্তর্বর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত এলিজাবেথ জোনস শুক্রবার দিল্লিতে বলেন, ‘ভারতের ভোটের প্রচারপর্বে সাম্প্রদায়িক ঘৃণার বশে ধর্মীয় উস্কানি ভীষণ উদ্বেগের বিষয়। এ নিয়ে ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত এধরনের মন্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন, কূটনৈতিকমহল। সম্প্রতি গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যের ফুলঝুরি ছোটাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উস্কে দিয়েছেন গুজরাত হিংসার স্মৃতি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা রামভক্তদের জন্মভূমি। পিছিয়ে নেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁর দাবি, হিন্দুরা হিংসায় অংশ নেয় না। পরপর এমন মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

মোদী সরকারের আমলে এদেশে ধর্মীয় অসহিঞ্চুতা, মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগে বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। সেই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন ভোটের প্রচারে ধর্মীয় উস্কানি।

ঘটনাচক্রে, গত মাসেই মার্কিন সরকারের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশনের (সিআইআরএফ) বার্ষিক রিপোর্টে বিজেপি সরকারের নীতিকে তুলোধোনা করা হয়। বলা হয়, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার হাল সেই তিমিরেই। ধর্মান্তরকরণ, ভিন ধর্মে বিয়ে ও গোরক্ষার মতো বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতে গৃহীত সরকারি নীতিগুলির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সংখ্যালঘুদের উপর। নিশানা বানানো হচ্ছে মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, দলিত ও আদিবাসীদের। সমালোচকদের কণ্ঠরোধে সরকারি মেশিনারির মাধ্যমে তাঁদের হেনস্তা করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে টানা হয় মহম্মদ জুবেইরের গ্রেপ্তারি ও হেফাজতে থাকাকালীন ফাদার স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর ঘটনা। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে মৃত্যু, যৌন হেনস্তা, বাড়িঘর, এমনকী ধর্মীয় স্থানও ভেঙে দেওয়ার ঘটনার সমালোচনা করা হয়। যদিও সেই রিপোর্ট মিথ্যা বলেই দাবি করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। এবার গুজরাত ভোটে ধর্মীয় উস্কানির রমরমা নিয়েও আমেরিকা উদ্বেগ প্রকাশ করা অস্বস্তি আরও বাড়ল মোদী সরকারের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Gujarat election, #elizabeth jones, #bjp, #USA

আরো দেখুন