পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজেপি শাসিত মণিপুরে লাগু বিতর্কিত ৩৫৫ ধারা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে, শুক্রবার রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করল কেন্দ্র। উত্তরপূর্বের এই রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্তা সংবাদ সংস্থাকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন।
মণিপুর পুলিশের ডিজি, পি ডুঞ্জেল সংবাদ সংস্থা IANS –কে জানিয়েছে, সমগ্র পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পরে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করা হয়েছে, যাতে কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং জনগণের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে।
এর পাশাপাশি ওই পুলিশ কর্তা বলেন, “মণিপুরের পরিস্থিতি এক বা দুই দিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে”।
৩৫৫ ধারা হল ভারতীয় সংবিধানের একটি ধারা যা কেন্দ্রীয় সরকারকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যেকোনো রাজ্যে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করার ক্ষমতা দেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় একাধিক রাজ্যে এই ধারার প্রয়োগ করছে কেন্দ্র। ৩৫৫ ধরার প্রয়োগ নিয়ে অনেক সময়ই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
মণিপুরের উপজাতি ছাত্র সংগঠনের ডাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে বুধবার হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা রাজ্যে ৫ দিনের জন্য বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। উপজাতি এবং উপজাতিভুক্ত সম্প্রদায় নয় এমন জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ৮ জেলায় জারি করা হল কার্ফু। তফসিলি মর্যাদা আদায়ে দীর্ঘ এক দশক আন্দোলন করছে মেইতি জনগোষ্ঠী, যাঁরা মণিপুরের উপজাতিভুক্ত সম্প্রদায়ের নন। ৩ মে তার প্রতিবাদে মিছিলের ডাক দিয়েছিল উপজাতিদের ছাত্র সংগঠন এটিএসইউএম। এই মিছিলকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পুলিশ সূত্রে খবর, মিছিল চুড়াচাঁদপুর জেলার টুরবং অঞ্চলে পৌঁছতেই শুরু হয় সংঘর্ষ।
তাছাড়া, মণিপুরের বিজেপি সরকার স্থানীয় বনাঞ্চলগুলিতে সমীক্ষা চালাচ্ছে। আদিবাসীদের আশঙ্কা, সরকার এবার বনভুমি ধ্বংস করতে চলেছে। তার চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণভাবে গত কয়েক মাসে সেরাজ্যে অন্তত তিনটি গির্জা ভেঙেছে প্রশাসন। সরকারের দাবি, ওই গির্জাগুলি ছিল বেআইনি। সরকারের এই পদক্ষেপে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আদিবাসী খ্রিস্টানরা। সেটাও বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।