অপেক্ষার অবসান, আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ইলিশ ধরা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বঙ্গে বর্ষার আগমন পাতে ইলিশ না পড়া অবধি সম্পূর্ণ হয় না, আজ সমুদ্র-নদীতে মাছ না ধরার নিষেধাজ্ঞার ৬১ দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আগামীকাল, অর্থাৎ ১৫ জুন থেকে রুপোলি শস্যের খোঁজে সাগরে পাড়ি দেবেন মৎস্যজীবীরা। দীঘা, শঙ্করপুর, পেটুয়াঘাট, শৌলাসহ নানান মৎস্যবন্দর ও মৎস্য আহরণ কেন্দ্র থেকে ট্রলার-লঞ্চ-টু সিলিন্ডার বোট সমুদ্রে রওনা হবে। এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে, ট্রলার-লঞ্চগুলির পুজো চলছে। জাল, জ্বালানি, বরফ, খাবারসহ অন্যান্য সামগ্রী তোলার কাজ শেষ। মৎস্যজীবীরা নিরাপত্তার জন্য লাইফজ্যাকেট, বয়া প্রভৃতি গুছিয়ে নিচ্ছেন। খবর মিলেছে, সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার মৎস্যযান এবার মৎস্যশিকারে পাড়ি দেবে। সমুদ্রযাত্রায় গিয়ে বিপদে পড়লে মৎসজীবীরা কী করবেন, তা নিয়ে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও মৎস্যদপ্তরের তরফে দীঘা মোহনায় মাঝি ও চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত মাছের প্রজনন কাল। তাই প্রতি বছর, ওই সময়টাতে সমুদ্র ও নদীতে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। নিষেধাজ্ঞা উঠলেই সমুদ্রে পাড়ি দেন মৎস্যজীবীরা। কেরলে ইতিমধ্যেই বর্ষা ঢুকে গিয়েছে। বাংলাতেও প্রাক বর্ষার আবহ। এই পরিস্থিতিতে ইলিশের প্রতীক্ষা শুরু করে দিয়েছে ইলিশপ্রিয় বাঙালি। দুর্ঘটনা এড়াতে মৎস্যদপ্তর ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে এবার গভীর সমুদ্রে যাওয়া প্রতিটি ট্রলারে বিপদসঙ্কেত প্রেরকযন্ত্র জিপিআরএস ডিভাইস এবং অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া ট্রলারে লাইফজ্যাকেট এবং পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রাখতেও বলা হয়েছে। জিপিআরএস রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, ফলে সমুদ্রে মৎস্যজীবীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়লে উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্মীরা বিপদসঙ্কেত পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবেন। ভারতের জলসীমা নিয়েও সচেতন করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
মৎস্যজীবীদের বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছে মৎস দপ্তর, যেমন লাইসেন্সের কাগজপত্রসহ জীবনবিমার নথিপত্র সঙ্গে রাখার কথা বলা হয়েছে। মাছ ধরার ক্ষেত্রে ৯০ মিলিমিটারের কম পরিধির ফাঁসের জাল ব্যবহার করা যাবে না। ২৩ সেন্টিমিটারের নীচে মাছ ধরা যাবে না। সমস্ত সরকারি নিয়মনীতি মৎস্যজীবীদের মানতে হবে।