ধূপগুড়ি বিধানসভাটি হাতছাড়া হতে পারে, চিন্তায় BJP নেতৃত্ব
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যু হওয়ায় শূন্য হয়েছিল ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনটি। এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে শুধু ধূপগুড়ি নয়, পাঁচটি রাজ্যের আরও ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ঘোষি, উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর, ঝাড়খণ্ডের ডুমরি, কেরালার পুথুপল্লি, ত্রিপুরার বক্সানগর এবং ধনপুর আসনেও হবে ভোটগ্রহণ।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) উপনির্বাচন হবে ধূপগুড়ি-সহ এই সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে। ১৭ অগস্ট পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২১ অগস্ট। ৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে।
ধূপগুড়ির প্রয়াত বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর মাত্র দু’সপ্তাহের মাথায় উপনির্বাচনের দিনক্ষণ জানানো হলেও কলকাতার মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মানিকতলার তৎকালীন বিধায়ক সাধন পাণ্ডে মারা যাওয়ার পর থেকে বিধায়কহীন অবস্থায় রয়েছে ওই কেন্দ্রটি।
এদিকে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, ধূপগুড়ি আসন ধরে রাখা যাবে তো? এই আশঙ্কা করার অনেকগুলি কারণ আছে। তবে ধূপগুড়ি আসন যদি বিজেপি ধরে রাখতে না পারে তাহলে সেটা লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।
কেন ধূপগুড়ি হাতছাড়া হতে পারে বিজেপির? এই বিধানসভা আসনে একাধিক ফ্যাক্টর এখন কাজ করছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপদ রায় ধূপগুড়ি থেকে জয়ী হয়েছিলেন ৪৩৫৫ ভোটে। এখন সেখানে উপনির্বাচন হলে বিজেপির জয়ের কার্যত কোনও সম্ভাবনাই নেই। কারণ এখানের সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তাই এই আসনটি হারাবার আশঙ্কা করছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তাছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই সেখানে ঘাসফুলের সংগঠন মজবুত বলে মনে করা হচ্ছে।