শতবর্ষে ‘আবোল তাবোল’, আজও বেস্ট সেলার সুকুমারের অনবদ্য সৃষ্টি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাঙালির সাহিত্য কীর্তির অন্যতম সেরা নজির হল ‘আবোল তাবোল’, স্রষ্টা সুকুমার সে’বই ছাপার অক্ষরে দেখে যাননি। সুকুমার মারা গেলেন ১০ সেপ্টেম্বর, সেই বছর ১৯ সেপ্টেম্বর ‘আবোল তাবোল’ প্রকাশিত হল। দেখে গিয়েছিলেন, বইয়ের প্রচ্ছন ও প্রেস কপি। কেটে গিয়েছে ১০০টি বছর। কিন্তু আজও আবোল তাবোল-কে আঁকড়ে রেখেছে বঙ্গ সন্তানরা। বইটির ইংরেজি অনুবাদও প্রকাশিত হয়েছে কয়েক বছর আগে।
এখন বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা বইটি প্রকাশ করে। প্রকাশকদের বক্তব্য, আজও চাহিদা কমেনি এ বইয়ের। এখনও বাবা-মায়েরা খুদেদের হাতে ‘আবোল তাবোল’ তুলে দেন, তারপর তারা বাংলা সাহিত্যের আঙিনায় প্রবেশ করে।
‘আবোল তাবোল-এর বেশিরভাগ ছড়াই ১৯১৫ থেকে ১৯২৩-র মধ্যে সন্দেশে প্রকাশিত হয়েছিল। ইউ রায় অ্যান্ড সন্স প্রকাশনা সংস্থা আবোল তাবোল প্রকাশ করে। এখন পারুল প্রকাশনী আবোল তাবোল প্রকাশ করে। তাঁরা বলছেন, বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের জন্য এই বইটা কিনে নিয়ে যান। প্রতিদিনই দোকানে কেউ না কেউ খোঁজ করেন। বিক্রেতারা বলছেন, একদম আগের মতোই চাহিদা রয়েছে। প্রকাশের একশো বছর পরে আজও এ বই নিয়ে মানুষ আলোচনা করে, তর্ক-বিতর্ক হয়। সুকুমার রায়ের এই অবিস্মরণীয় সৃষ্টি নিছক শিশুসাহিত্যের গন্ডিতে আটকে নেই। আবোল তাবোল-এর প্রতিটি লাইন শিশুমনকে উদ্বেলিত করে, পাশাপাশি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবোল তাবোলের প্রতিটা লাইন অন্য ভাবেও ভাবতে শেখায়।