রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

লুপ্তপ্রায় কালোজিরা চাল ফিরিয়ে আনল বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

October 2, 2023 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলা থেকে প্রায় লুপ্তই হয়ে গিয়েছিল ‘কালোজিরা চাল’। বঙ্গে সেই চাল ফিরিয়ে আনল বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শস্য বিজ্ঞান বিভাগ। শীঘ্রই রাজ্য সরকারের সুফল বাংলার স্টলে স্টলে কালোজিরা চালের দেখা মিলবে। শস্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মৃত্যুঞ্জয় ঘোষের কথায়, কালোজিরা ধান চাষ করতে প্রায় পাঁচ মাস লাগে। দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র কালো রঙের সুগন্ধি ধান এটি। চালের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। চালের আকৃতি গোলাকার। গাঙ্গেয় সমভূমি ও রাঢ় অঞ্চলে এর চাষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে বীজ তৈরি হয়েছে। যা কৃষকদের দেওয়া হয়েছিল চাষ করার জন্য।

বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শস্য বিজ্ঞান বিভাগ ২০১৮ সাল থেকে কালোজিরা চাল নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। তারা বীজ তৈরি করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কৃষক সংগঠনগুলিকে সেই বীজ দিয়ে প্রযুক্তিগত সাহায্য করেছে। নদীয়া, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমানের কৃষক সংগঠনকে কালোজিরা চালের বীজ দেওয়া হয়েছিল। অল্প পরিমাণ জমিতে এই ধান বীজ চাষ করেছেন কৃষকরা। সুফল পাওয়ার পর অবশেষে কালোজিরাকে সাধারণ মানুষের জন্য বাজারে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

কৃষি বিজ্ঞানীদের দাবি, কালোজিরা চাল উচ্চ পুষ্টিগুণসম্পন্ন। অনেকে চোখেই দেখেননি এই চাল। সুফল বাংলার স্টলগুলিতে এই চাল রাখতে চলেছে রাজ্যের কৃষিদপ্তর। শনিবার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রপ অ্যান্ড উইড সায়েন্স সোসাইটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই চালের উদ্বোধন হয়। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য জয়ন্ত তরফদারসহ প্রমুখ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কয়েক শতক ধরে দক্ষিণবঙ্গে কালোজিরা ধান ধারাবাহিকভাবে চাষ হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন কারণে বাংলা থেকে সেই চাল প্রায় হারিয়ে গিয়েছে। মানুষের স্বার্থেই ফের কালোজিরা ধানকে বাজারে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bidhan Chandra Krishi Viswavidyalaya, #black cumin rice

আরো দেখুন