বর্ধমানের লালজি মন্দিরের ব্যতিক্রমী স্থাপত্যশৈলীর কথা জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বর্ধমানের অম্বিকা কালনায় রয়েছে লালজি মন্দির। মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী বিরল। মন্দিরটি পঁচিশ চূড়া বিশিষ্টি। বাংলায় ২৫ চূড়া বিশিষ্ট মন্দির রয়েছে কেবল ছ’টি। বর্ধমান রাজপরিবার মন্দিরটি তৈরি করেছিল। এ মন্দিরের নির্মাণশৈলী বিস্ময়ে জন্ম দেয়। অম্বিকা কালনাতে আরও তিনটি ২৫ চূড়ার মন্দির আছে। এছাড়াও হুগলি জেলার সুখাড়িয়া আনন্দময়ী কালীমন্দির, বাঁকুড়া জেলার সোনামুখির শ্রীধর মন্দির ও মুর্শিদাবাদ জেলার নশিপুরের রঘুনাথ মন্দির ২৫ চূড়া বিশিষ্ট।
বর্ধমানের তৎকালীন মহারাজ কীর্তিচাঁদের মা বিষেণ কুমারী দেবী ১৭৪০ সালে লালজি মন্দিরটি স্থাপন করেন। জনশ্রুতি অনুযায়ী, বৃন্দাবন যাওয়ার মানত পূরণ হওয়ায় মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। তিনটি স্তরে মোট ২৫টি চূড়া সজ্জিত রয়েছে মন্দিরে। প্রথমস্তরে প্রতি কোণায় তিনটি করে মোট ১২টি, দ্বিতীয়স্তরে প্রতি কোণা দুটি করে মোট ৮টি, তৃতীয়স্তরে প্রতি কোণায় একটি করে মোট ৪টি এবং শীর্ষে একটি চূড়া রয়েছে। সব মিলিয়ে ২৫ টি চূড়া রয়েছে।
বেদী থেকে মন্দিরের উচ্চতা ৬৫ ফুট। মন্দিরের সামনে রয়েছে নাটমন্দির। রয়েছে গরুড় স্তম্ভ। নাটমন্দিরের বাইরে রয়েছে গিরি গোবর্ধন ও ডানপাশে নারায়ণশিলা মন্দির। নারায়ণশিলা মন্দিরে ১০৮টি শালগ্রামশিলা নিত্য পুজো পায়।